মহানগর ডেস্ক: হাঁটা-চলার গতি হয়তো শ্লথ হয়েছে। কিন্তু মন-মগজ এখনও রয়েছে সেই মাত্রায়। মহারাষ্ট্র (Maharashtra) থেকে পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লি (Delhi)। রাজ্য সরকার বাঁচানোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েও ভাবতে হচ্ছে তাঁকে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেদের একাংশ মনে করছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন এনডিএ পদপ্রার্থী। তবু শেষ সম্ভাবনা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে চাইছেন শরদ। যশবন্ত সিনহার পাশে থাকার জন্য রাজধানী শহরে গিয়েছেন।
দিল্লিতেও শরদের পিছু নিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কিত প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি শাসনই কি তবে ভবিতব্য? উত্তরে তিনি সারাসরি বলেছেন- মনে হয় না। মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে বিদ্রোহীরাও সমস্যায় পড়তে পারেন। ফলে আমার মনে হয় না ওখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবান চুলের জন্য প্রয়োজন প্রোটিন যুক্ত খাবারের
শিবসেনা বিদ্রোহীদের পরবর্তী পদক্ষেপ বোঝা দুষ্কর, তেমনই রাজ্য সরকারেরও। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, ‘ওরা (বিদ্রোহীরা) ফিরে আসুক। মহারাষ্ট্রের শিবসেনার একক সরকার গড়ার ব্যাপারে আমরা কথা বলবো।’ এমনকি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার ব্যাপারেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে শরদ পাওয়ার বলেছেন, ‘এরকম কিছু কানে আসেনি’।
সংকটকালে বন্ধু জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি হতে পারে শিবসেনার গলার কাঁটা। সঞ্জয়ের কথা যদি পার্টির কথা হয় তাহলে জোট ভাঙার জন্য তলেতলে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিতে পারে শিবসেনা। এদিকে শরদ বলেছেন, ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা পাশে থাকবো।’
শিবসেনার গৃহ যুদ্ধ হোক কিংবা রাইসিনা হিলের উত্তরসূরি বাছাই পর্ব, একাশি বছর বয়সী শরদ পাওয়ারের। বিকল্প বোধহয় ভারতীয় রাজনীতিতে এখনও নেই। একাধিকবার অপারেশন করার পরেও তিনি এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে বেড়াচ্ছেন।