মহানগর ডেস্ক: দেশ জুড়ে পালিত হবে আলোর উৎসব। সেই সঙ্গে বাঙালি মাতবে কালীপুজোয়। তার সাথে জড়িয়ে রয়েছে গুচ্ছের বাজি ফাটানোর ধুম। কিন্তু পরিবেশের কথা চিন্তা করেই ইতিমধ্যেই পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি ছাড়া অন্য কোন বাজি ফাটানো যাবেনা বলে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু কে শুনছে কার কথা। শহর থেকে গ্রাম দেদার বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিকিকিনি। কিন্তু আদালতের কথা শোনানোর জন্য সিদ্ধ হস্ত কলকাতা পুলিশ। এবার শহরে ও জেলায় নিষিদ্ধ শব্দবাজির বেচাকেনা (illegal fire crackers) রুখতে একাধিক জায়গায় চলছে ধরপাকড়। শনিবার বিকেলে নিষিদ্ধ শব্দবাজি পাচারের অভিযোগে আটশো কেজি শব্দবাজি সহ গাড়ির মালিক গৌরাঙ্গ সরকারকে (৬২) গ্রেফতার করে পোস্তা থানার পুলিশ। যা দেখে তাজ্জব কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) বড়কর্তারাও।
কার্যত গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। এই কাজে চালক ও খালাসিকে বহুবার গ্রেফতার করা হলেও মালিকদের বরাবরই ছাড়ের খাতায় ফেলে রেখেছিল প্রশাসন। তবে এবার একেবারে মাথাকেই ধরছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার গোপন সূত্র খবর পেয়ে পোস্তা থানার একটি দল এই অঞ্চলেরই এক পরিবহণ অফিসে হানা দেয়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ হদিশ পেয়েছে যে, এই বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি শহর থেকে রওনা দিচ্ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরে। সেখানেই দেবু সাহু নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে এই বাজিগুলি বিক্রির সিদ্ধান্ত পাকা হয়েছিল। সূত্রের খবর, পোস্তা থানার পুলিশ পশ্চিম মেদিনীপুর সোনাকানিয়ার এই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করতে পারে।
এপ্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, ‘নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধারের ঘটনায় পোস্তা থানার পুলিশ ভারতীয় বিস্ফোরক আইনের জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই শব্দবাজি বিক্রির চক্র কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের খোঁজেই এবার জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এবছর নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি এবং পরিবহণের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই কলকাতা পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ধারণ করেছে। এটার তারই একটা নিদর্শণ বলা যেতে পারে।