মহানগর ডেস্ক: নিখাদ প্রেমের অকল্পনীয় ভয়ঙ্কর পরিণতি! যা শুধু কেড়ে নিল না প্রেমিকার প্রাণ, তারপর যা ঘটল, তা শিউরে ওঠার মতো রক্তঠান্ডা করে দেওয়ার মতো বিভীষিকাময় ঘটনা। মেক্সিকোয় (Mexican woman) থাকতেন ব্লাঙ্কা আরেল্লনো নামে একান্ন বছরের ওই মহিলা। অনলাইনে আলাপ (Online Lover) হওয়ার পর তিনি প্রেমে পড়েছিলেন পেরুর একজনের। তাঁকে সশরীরে দেখার জন্য পাঁচ হাজার মাইল উজিয়ে এসেছিলেন পেরুতে। কিন্তু দেখা করার পর অনলাইন খুন হতে হয় তাঁকে। তারপর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। তবে সেখানেই থেমে ছিল না নারকীয় ঘটনা। তাঁর দেহ কেটে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বের করে বিক্রি করা হয়। গত নয় নভেম্বর ওই মহিলার পচাগলা দেহ হুয়াচো সমুদ্রতীরে পড়ে থাকতে দেখে এক জেলে।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ব্লাঙ্কা আরেল্লনো তাঁর পরিবারকে জানান তিনি লিমায় যাচ্ছেন, যেখানে তিনি তাঁর অনলাইন প্রেমিক জুয়ান পাবলো জেসাস ভিল্লিফুটেরটের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। জুয়ানের সঙ্গে অনলাইনে বেশ কয়েকমাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল তাঁর। ব্লাঙ্কার পরিবার জানিয়েছে তিনি বছর সাঁইত্রিশের পেরুর এক বাসিন্দার সঙ্গে হুয়াচো শহরের সমুদ্রতীরে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই জুয়ান থাকতো। পেরু যাওয়ার পর বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হলেও সাত তারিখের পর থেকে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ তাদের ছিল না।
নিউজ কর্প অস্ট্রেলিয়ার খবর, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন ব্লাঙ্কার ভাগনি কারলা আরেলানো তাঁর পিসির সঙ্গে নভেম্বরের সাত তারিখে কথা বলেছিলেন। সেসময় জুয়ানের সঙ্গে ব্লাঙ্কার সম্পর্ক ভালোই যাচ্ছিল এবং তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তিনি। সপ্তাদুয়েক পর টুইটারে ব্লাঙ্কার খোঁজ পাওয়ার জন্য কাতর আর্জি জানিয়ে পোস্ট করেন তাঁর ভাগনি। যার পরেই পুলিশ ব্লাঙ্কার খোঁজ পেতে তল্লাশি শুরু করে। টুইটারে কার্লা লিখেছিলেন তিনি কখনও ভাবেননি এরকম পরিস্থিতির মধ্যে তাঁকে পড়তে হবে। আজ তিনি সাহায্য চাইছেন। তাঁর জীবনের সব থেকে প্রিয় মানুষের খোঁজ পেতে তিনি মরীয়া হয়ে উঠেছেন। টুইটারে তাঁর লেখা কাতর আর্জি তৎক্ষণাৎ ইংরেজিতে অনুবাদ হয়ে যায়। যাতে তিনি লেখেন তাঁর পিসি সোমবার পেরু থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা তাঁর জীবনের আশঙ্কা করছেন।