মহানগর ডেস্ক: মোদীর ( Narendra Modi) ভারতের আর্থিক বিকাশের (Economic Growth)প্রতীক কী সাপুড়ে? প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই দেশের অর্থনেতিক বিকাশ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নানারকম উদ্যোগও নিয়েছেন। তার ফল অবশ্য কতটা মিলেছে, সেটা তর্কের বিষয়। বিরোধীরা যদিও আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে। দেশে বেকারত্ব বাড়ছে বলে অবিরাম শোরগোল তুলে চলেছে। কিন্তু তাদের আশাহত করে বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank) থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার ভারতের আর্থিক বিকাশকে রীতিমতো ব্যঙ্গ করে সাপুড়ের ছবি (Indian Economy Means Snake Charmer) দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে বিতর্কে জড়াল ইউরোপের স্পেনের (Spain) নামী একটি ম্যাগাজিন লা ভানগুয়াদিয়া।
নভেম্বরের ন তারিখে তাদের কাগজের প্রথম পাতায় সাপুড়ের ছবি গ্রাফিক্স করে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতির বর্তমান মুহূর্ত। আর তাতেই জোর বিতর্ক বেঁধেছে। সাপুড়ের ছবি কেন ভারতের অর্থনীতির অবস্থান বোঝাতে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা,ময়নাতদন্ত। টুইটারে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রালের বিজেপি সাংসদ পিসি মোহন এ নিয়ে তাঁর মত জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন দ্য আওয়ার অব ইকনোমি হচ্ছে স্পেনের একটি ম্যাগাজিনের প্রধান খবর। দেশের অর্থনীতিতে আসা জোয়ার যখন গোটা বিশ্বের স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে, তখন সাপুড়ের ছবি দিয়ে ভারতের অর্থনীতির পরিস্থিতি বোঝানো স্রেফ বোকামি ছাড়া কিছু নয়। বিদেশের এই উপনিবেশবাদের মানসিকতা এক ধরণের জটিল তত্ত্বের জন্ম দেয়।
জেরোধার মতো বড় এক প্রতিষ্ঠানের সিইও নীতীন কামাথও এর তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, সারা পৃথিবী নজর রাখছে। এই ব্যঙ্গ করে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে একজন সাপুড়ে? এটা অপমান ছাড়া কিছু নয়। আরেক টুইটার ইউজার এর পেছনে বর্ণবিদ্বেষের প্রতিনিধিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। তিনি লিখেছেন সারা পৃথিবী যখন দ্রুত উন্নতি করা ভারতের আর্থিক বিকাশের দিকে নজর রাখছে, তখন সাপুড়ের ছবি দিয়ে সেই আর্থিক বিকাশকে খাটো করা বর্ণবৈষম্যেরই ইঙ্গিত বহন করছে। এ নিয়ে রীতিমতো ঝড় বইতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন লিখেছেন ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে পশ্চিমীদের জ্ঞান খুবই সীমাবদ্ধ। ভারতের এই উত্থান পশ্চিমি দেশগুলিকে একঘেঁয়ে মানসিকতা থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।