মহানগর ডেস্ক: অলৌকিক না অন্য কিছু (Miracle Voice) ! সম্মোহিত হওয়া মহিলা শুনতে পেলেন কেউ তাঁকে বলছেন সিটি স্ক্যান (CT Scan) করানোর জন্য। কারণ তাঁর মাথার ভেতর টিউমার (Tumour) রয়েছে। ভারী,গম্ভীর গলায় কেউ যেন কথাগুলো বলে চলেছে আর সেই কথাগুলো তিনি শুনে চলেছেন। এমন কথা শোনার পর তাঁর মাথায় সিটি স্ক্যান করা হয়। দেখা যায় সত্যি সত্যি মহিলার মাথার ভেতর রয়েছে। এক টুইটার ইউজার ওই মহিলার অস্বাভাবিক ঘটনা পোস্ট করার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্টটি ইতিমধ্যেই তেতাল্লিশ হাজার জন লাইক করেছেন। রিটুইট করেছেন সাড়ে ছ হাজার মানুষ। ওই টুইটার ইউজার লিখেছেন সম্মোহনকারী গলায় বার্তা পেয়ে রোগনির্ণয় সম্ভব হয়েছে। তিনি লিখেছেন সম্মোহিত মহিলা শুনতে পেয়েছেন কারা যেন গম্ভীর গলায় তাঁকে সিটি স্ক্যান করার নির্দেশ দিচ্ছে। ওই অদৃশ্য গলা তাঁকে বলছে তাঁর মাথায় টিউমার রয়েছে।
মহিলার মনস্তত্ত্ববিদ তাঁকে স্ক্যান করার পরামর্শ দেন। স্ক্যান করার পর মহিলার মাথার ভেতর টিউমারের হদিশ পান চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের পর তিনি সেই গলা আবার শুনতে পান। সেই গম্ভীর,ভারী গলা তার কথা শোনার পর ধন্যবাদও জানায়। তারপর তিনি আর শোনা যায়নি কোনওকথা। বিএমজে-তে প্রকাশিত কেস রিপোর্টে জানা গিয়েছে ১৯৮৪ সালে বছর চল্লিশের এক মহিলা বাড়িতে একা ছিলেন। তিনি যখন সময় কাটানোর জন্য বই পড়ছিলেন তখন অদৃশ্য একটি গলা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে ভয় পেও না। আমি জানি তাঁর কথা শুনতে খারাপ লাগবে, তবে এমন সহজভাবে তিনি চিন্তা করে থাকেন। আমার বন্ধু ও আমি একটা শিশুদের হাসপাতালে কাজ করতেন। হাসপাতালটা গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিটে। আমরা তোমাকে সাহায্য করতে চাই। আইএফএল সায়েন্স জানিয়েছে এরপর ওই মহিলা এক মনস্তত্ত্ববিদের শরণাপন্ন হন। তিনি তাঁকে ধ্যান করার পরামর্শ দেন।
এরপর তিনি রিপোর্টের লেখকের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ফাংশনাল হ্যালুসিনেটরি সাইকোসিসের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় হওয়ার পর তাঁকে আবার ধ্যান করতে বলা হয়। কাউন্সেলিংও চলে। কিছু সময়ের জন্য সেই সম্মোহনও বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিদেশে ছুটি কাটানোর সময় ফের তিনি সেই সম্মোহনকারী গলা শুনতে পান। তখন সেই গলার স্বর তাঁকে বলে তাঁর মাথার ভেতর টিউমার রয়েছে এবং মস্তিষ্কের কোষে প্রদাহ হচ্ছে। তাঁকে স্ক্যান করার নির্দেশ দেয় সেই গলার স্বর। এরপর ওই মহিলা এবং চিকিৎসকের দল সেরা টিউমার চিকিৎসা কীভাবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তা করার ব্যাপারে আলোচনা করেন। ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থনও জানায় সম্মোহনকারী গলা। অস্ত্রোপচারে টিউমার বের করার পর আবার তিনি সেই গম্ভীর গলা শুনতে পান তারা জানাচ্ছে টিউমার বাদ দেওয়ার জন্য তারা খুশি। তাঁকে সাহায্য করতে পেরে খুশি জানিয়ে থেমে গিয়েছিল গলার স্বর। তারপর বহুদিন কেটে গেলেও সেই গলার স্বর আর শোনা যায়নি।