মহানগর ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন আর মাত্র কয়েকমাসের অপেক্ষা। আর তারপরেই লোকসভা ভোটের দামামা। তারই আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের ক্ষমতা যাচাইয়ে তৎপর। সেই স্বার্থেই এবার অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূম জেলার সব তৃণমূল বিধায়কদের ডেকে পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ২৬ তারিখ অভিষেকের অফিসে সব বিধায়কদের হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে ব্যাপক অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অনুব্রতর গড় বীরভূম জেলায় ভাল ফল করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি জনসংযোগ গড়ে তুলতেও মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই বীরভূমের সব বিধায়কদের জরুরি তলব করেন অভিষেক। বিধায়ক ছাড়াও জেলার সাংসদ এবং ছাত্র, মহিলা, যুব সংগঠনের সভাপতিদেরও ডেকে পাঠান অভিষেক। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বীরভূমের সব নেতাদের হঠাৎ তলব করলেন অভিষেক সেই বিষয়ে দলের তরফে জানানো হয়নি কিছুই।
বীরভূম জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিধায়ক, জেলার দুই সাংসদ এবং সংগঠনের নেতাদের হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমের সাংগঠনিক শক্তি কী পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে তা অবগত হতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্ব।
এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই চিন্তায় রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। সম্প্রীতি সমন্বয় কমিটি এবং শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির নেতৃত্বে থাকা বিকাশ রায়চৌধুরি এবং অভিজিৎ সিনহাকে তলব করে সংগঠনের বিষয় জেনে নেওয়াই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মূল উদ্দেশ্য হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি গোটা রাজ্যের চোখ সাংসদ এবং সংগঠনের নেতাদের তলব করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দিতে চলেছেন সেটাই আপাতত দেখার।