মহানগর ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূলের পাখির চোখ সেদিকেই। তাই সোমবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে উত্তরবঙ্গের তিন জেলার শীর্ষ নেতৃত্বকে ডেকে পাঠালেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আগস্টের প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এদিন বিকেল তিনটে নাগাদ শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিষেক। জানা গিয়েছে, জেলা সংগঠনের রদবদল নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
পাশাপাশি দলীয় সূত্রে, সংগঠন আরও মজবুত করতে এখন থেকেই উঠে পড়ে লেগেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। প্রথমে সমস্ত সংগঠন ভেঙে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। যদিওবা সেটা দলে সংস্কারের স্বার্থেই। শূন্য করে দেওয়া হয়েছিল একাধিক পদ। পরে দফায় দফায় আলোচনা-বৈঠকের দরুন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদে বেশ কিছু পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় কিছু নেতাকে। এবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব অনেক বেশী। নিজের সংসদীয় এলাকার দেখভালের পাশাপাশি সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নিতে হবে যথাযথ পদক্ষেপ।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তিনি বলেছিলেন, এবার হাতে কলমে সংগঠনের কাজ শুরু করবেন। খুব শীঘ্রই জেলা স্তরের সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন। সেই কথা অনুযায়ী, আজই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং-এর জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন অভিষেক। এদিকে এদিন দুপুরেই তৃণমূলের জেলাওয়ারি সংগঠনে ঘটেছে ব্যাপক রদবদল। বহু চেয়ারম্যান ও সভাপতির পদে বদল এসেছে। কোচবিহার, বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সহ একাধিক জেলায় এসেছে নতুন মুখ। বাদ পরেছেন পার্থপ্রতিম রায়, তাপস রায়, পার্থ ভৌমিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর মন্ত্রিসভায় এই রদবদল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার ঘোষণা করা হবে নতুন পাঁচ জনের নাম। এদিকে রাজ্যে সাতটি নতুন জেলা তৈরি হতে চলেছে। যার মধ্যে ৬টি হল- সুন্দরবন, ইছামতি, রানাঘাট, বিষ্ণুপুর, বহরমপুর ও জঙ্গিপুর। বসিরহাট এলাকায় আরও একটি জেলা হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এক কথায়, পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে উঠেপড়ে লেগেছে, ঘাসফুল শিবির।