মহানগর ডেস্ক: প্রতি এগারো মিনিটে হয় একজন মহিলা,নয় একজন কিশোরী তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হচ্ছে (Abuse On Women)। সারা বিশ্বে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হিংসা হচ্ছে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল (Human Rights Violation)। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব প্রধান অ্যান্তোনিও গুটেরেস (UN Chief Antonio Guterres )। এ ধরণের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সমস্ত সরকারকে জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান কার্ষকর করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আগামী পঁচিশে নভেম্বর আন্তর্জাতিক মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা বিলোপ দিবসের আগে এই মন্তব্য করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব। গুটেরেসের কথায়, কোভিড অতিমারি থেকে আর্থিক টালমাটাল পরিস্থিতি অনিবার্যভাবেই আরও মহিলা ও কিশোরীদের ওপর শারীরিক ও মৌখিক নিগ্রহের মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ছাব্বিশ বছরের মুম্বইয়ের বহুজাতিক সংস্থার কলসেন্টারের কর্মী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে পঁয়ত্রিশ টুকরো করার প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব। শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা গোটাদেশকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে। যার রেশ ভারত ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গুটেরেস বলেন, মহিলা ও কিশোরীরা অনলাইনে লাগাতার হিংসার শিকার হচ্ছেন। ঘৃণাবিদ্বেষের পাশাপাশি তাদের যৌন হেনস্থা, ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করে চলেছে ষড়যন্ত্রীরা। তাঁর কথায়, নিগ্রহকারীদের নিশানায় মানবিকতা। মানবিকতাকে নিশানা করে সংগঠিত এই বৈষম্য,হিংসা ও নিগ্রহের ঘটনাগুলির কঠিন মূল্য চোকাতে হচ্ছে। এ কারণে মহিলা ও কিশোরীদের জীবনের সমস্ত দিকে তাদের অংশগ্রহণকে সীমাবদ্ধ করে তুলেছে। এটি তাদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতাকে কেড়ে নিচ্ছে। এমন ঘটনা পৃথিবীর স্থায়ী বিকাশ ও সমান অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এই ভয়ঙ্কর হিংসা থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব। এই সময় হল রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ যা মহিলা তথা কিশোরীদের বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধ করবে।