মহানগর ডেস্ক: মহাসংকটে মহারাষ্ট্রের সরকার (Maharashtra Government)। টুইটার থেকে মন্ত্রী পরিচয় সরালেন ঠাকরে পুত্র। এদিকে উদ্ধব ঠাকরের কাছে ফোন গিয়েছে শরদ পাওয়ারের। বিকেলে বসবে শিবসেনার জরুরি বৈঠক। অন্যদিকে নিজেকে এবার ‘মন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করতে চাইছেন না মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray)। টুইটারের বায়ো থেকে মুছে ফেলেছেন ‘মন্ত্রী’ শব্দটি। জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি? এদিকে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত টুইটে বিধানসভা ভেঙে ফেলার ইঙ্গিত করেছেন। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে।

আদিত্য ঠাকরের টুইটার অ্যাকাউন্ট
গতকাল থেকেই টলমল করছে উদ্ধব ঠাকরের কুর্সি। অনুমান করা হচ্ছে, যে কোনও মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে বৈঠকে বসবে শিবসেনা। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত হাত শিবির। কংগ্রেস নেতা কমলনাথের বক্তব্য, শিবসেনাকেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে। এক কথায় বিদ্রোহী মন্ত্রী শিন্ডে সহ বেশকিছু বিধায়কের বর্তমান অবস্থানের জন্য উদ্ধব ঠাকরে সরকারকেই দায়ী করছে কংগ্রেস।
এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন একনাথ শিন্ডে। কিন্তু হঠাৎ কেন বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শ ভুলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তিনি? অনেকে মনে করছেন, বিষয়টা হয়তো আজকে বাইরে এসেছে। কিন্তু উদ্ভব ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল বহুদিন আগেই। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আদিত্য ঠাকরের আসা তাঁদের মধ্যেকার ফাটল বাড়িয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, প্রভাবশালী শিন্ডেকে বিশ্বাসের চোখে দেখতেন না উদ্ভব। তাঁর হাতে মন্ত্রীত্ব দিলেও, তাঁকে গুরুত্ব কখনও দেয়নি শিবসেনা। শিন্ডের অনুগামীদের অভিযোগ, তাঁকে দলের ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাকা হতনা। এদিকে এদিন হঠাৎই নিজের টুইটার বায়ো থেকে ‘মন্ত্রী’ শব্দ উড়িয়েছেন আদিত্য ঠাকরে। নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে তা নিয়ে।