Home Featured Heavy Rain IMD Red Alert: সিত্রাং-এ বলি ৯ বাংলাদেশী, ভারতের ৪ স্থানে লাল সতর্কতা, বঙ্গউপকূলে ৫০ কিমি বেগে বইবে ঝড়

Heavy Rain IMD Red Alert: সিত্রাং-এ বলি ৯ বাংলাদেশী, ভারতের ৪ স্থানে লাল সতর্কতা, বঙ্গউপকূলে ৫০ কিমি বেগে বইবে ঝড়

by Arpita Sardar

মহানগর ডেস্ক: ক্রমশই শক্তি ক্ষীণ হয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গত রাতে ২:৩০ নাগাদ ঢাকার ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে তিনকোণা দ্বীপ এবং সন্দ্বীপের মাঝামাঝা জায়গায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। এর জেরেই বাংলাদেশের উপকূলে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ঝড়ের খাড়ায় বলি হয়েছে ৯ জন। কুমিল্লায় ৩, ভোলায় ২ সিরাজগঞ্জে ২, বরগুনায় ১ ও নড়াইলে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরই জেরে মঙ্গলবার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল এর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাসিনা প্রসাশন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের একেবারে কাছাকাছি আগরতলার থেকে ৬০ কিলোমিটার থেকে উত্তর-পূর্বে সিত্রাং অবস্থান করায় তার প্রভাব কিছুটা পড়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রয়েছে লাল সতর্কতা।

মঙ্গলবার ভোরে ভারতের মৌসম ভবনের তরফে টুইটে জানানো হয়েছে,‘তাণ্ডব চালানোর পর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। রাত ২:৩০ টে নাগাদ ঢাকার ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ও আগরতলা থেকে ৬০ কিলোমিটার থেকে উত্তর-পূর্বে অবস্থান করছে। পরবর্তী ৩ ঘণ্টায় তা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তার পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় একেবারে দুর্বল হবে।’

তবে এই আবহে আগামী ২৬ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত ত্রিপুরার সমস্ত স্কুল, কলেজ সহ বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এক সপ্তাহের জন্য সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটিও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে কমলা সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে অরুণাচলপ্রদেশে। ঘুর্নিঝড় এর দাপট কমে নিম্নচাপের রূপ নিলেও অসমের কাছার, করিমগঞ্জ ও হাইলাকাণ্ডিতে জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে ত্রিপুরায় বিচ্ছিন্নভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা জানিয়েছে মৌসুম ভবন।

আলিপুর আবহাওয়া সূত্রে খবর, সিত্রাং এর গতিমুখ পরিবর্তন করায় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের সক্রিয় প্রভাব পড়েনি। শেষমেষ বাংলাদেশে প্রচন্ড তান্ডব চালানোর সময়েই বঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে এর অবস্থান ছিল প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার দূরে। কার্যত মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার কথা জানা গেলেও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দুই ২৪ পরগনায় বিক্ষিপ্ত ভেবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির হয়েছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়। পর্যটকদেরকেও সমুদ্র সৈকতে নামতে বারণ করা হয়। বন্ধ রাখা হয়েছিল সুন্দরবনের ফেরি চলাচল। তবে বেলা গড়ালেই হাওয়ার গতিবেগ ক্রমশ কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

You may also like