মহানগর ডেস্ক: দলীয় কোন্দল নিয়ে বহুদিন ধরেই বিব্রত তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রীকে এনিয়ে বহুবার হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই পার্থ-অনুব্রত থেকে শুরু করে বড়-মেজ-ছোট নেতাদের নিয়ে ক্রমশ ব্যাকফুটে দল। তাদের বাগে আনতে দু বেলাই আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। চলছে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। সেই সারদা দুর্নীতির পর ভোট পরবর্তী হিংসা, এসএসসি দুর্নীতি, কয়লা পাচার,গরু পাচার নিয়ে বিরোধীদের একের পর এক বাউন্সার সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো কোণঠাসা এ রাজ্যের শাসকদল।
এরই মধ্যে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সিউড়ির প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ও ন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ও তেরো নম্বর ওয়ার্ডের কুন্দন দে মন্দিরে পুজো দেওয়া নিয়ে সেই কোন্দল ( TMC Infighting) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সেই রেশ টেনে রবিবার বিজয়া সম্মিলনীতে বীরভূম জেলার সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় আক্রমণ শানিয়েছেন নিজেদের দলেরই নেতাদের (TMC leader Admits) । রীতিমতো ঝাঁঝালো সুরে তিনি বলেছেন, সিপিএম নয়, তৃণমূলের শত্রু রয়েছে নিজেদের মধ্যেই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সাফ জানান, ওই সব নেতা-কর্মীরাই দলের ভেতরে থেকে দলের ক্ষতি করে চলেছেন।
মন্দিরে বিরোধী দলনেতা তথা একসময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মন্দিরে দলের দুই নেতার পুজো দেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পরই রীতিমতো বিস্ফোরক তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সহসভাপতি। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলর উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর কোনওভাবেই দল ছাড়ার প্রশ্ন নেই। তিনি ওই কালীমন্দির প্রতি বছরই যান। এ বছরও গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দেখা হয়। যেহেতু তিনি আগে তৃণমূলে ছিলেন, তাই এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎকার। এর পেছনে অন্য কোনও অঙ্ক নেই।