মহানগর ডেস্ক: অগ্নিপথ (Agnipath) নিয়ে চলতে থাকা বিক্ষোভের মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি (G Kishan Reddy) বলেছেন যে, এই প্রকল্পের অধীনে যাঁদের নিয়োগ করা হবে তাঁদের ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, নাপিত সহ আরও নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য হইচই ফেলে দিয়েছে চারিদিকে। গত মঙ্গলবার মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার চার বছরের চুক্তিভিত্তিতে দেশের তিন সামরিক বাহিনীতে যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করার কথা জানায়। তাতে আপত্তি তুলেছে দেশের যুব সম্প্রদায়। আর যার পর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত বিক্ষোভের আগুনে দাউদাউ করে জ্বলছে।
Armed Forces will now be a training ground for skilled labour work force for the nation such as drivers, electricians etc under the Agneepath recruitment scheme. A new achievement unlocked!
Video courtesy: @krishanKTRS pic.twitter.com/WC0hcoWuYQ— Priyanka Chaturvedi🇮🇳 (@priyankac19) June 19, 2022
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে বলা হয়েছে, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে ১৭-২১ বছর বয়সী যুবক যুবতীদের চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। কাজ শেষে ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরদের অব্যহতি দেওয়া হবে। সঙ্গে তাঁরা মোটা অঙ্কের প্যাকেজ পাবেন। কিন্তু সামরিক বাহিনীতে চাকরির জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের দাবি, এই প্রকল্পের ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: ‘দেশের এই অবস্থার জন্য একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই দায়ী’, ‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভ নিয়ে মোদিকে তোপ রাহুলের
টুইটারে রেড্ডির প্রেস ব্রিফিংয়ের ভিডিও শেয়ার করে তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামা রাও তাঁর বক্তব্যকে ‘চমকপ্রদ’ বলেন। অন্যদিকে শিবসেনা নেতা প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, “সশস্ত্র বাহিনী এখন অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের অধীনে ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান ইত্যাদির প্রশিক্ষণ দেবে। এটা আ্যচিভমেন্ট-এর থেকে কোনও অংশে কম নয়!”
তেলেঙ্গানা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য এই প্রকল্পের কারণে উত্তাল হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেনে। সরকারি সম্পত্তির ভাঙচুর করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল, অবরোধ করা হয়েছে হাইওয়ে। রাজনৈতিক মহলে এই প্রকল্পকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। এর মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেড্ডির মন্তব্য হইচই ফেলে দিয়েছে।