মহানগর ডেস্ক: কিছুদিনের মধ্যে হিজাব পরা মহিলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কর্ণাটকের স্কুল-কলেজে হিজাব পরা নিষিদ্ধ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির মতান্তরের প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন এআইএমআইএমের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি (AIMIM Chief Asserts) । মিম নেতা বলেন, হিজাব (Hijab)পরলে মুসলিম মহিলাদের মুখ ঢাকা পড়লেও মন ঢাকা পড়ে না। বলা হচ্ছে তাঁরা নাকি তাঁদের মেয়েদের হুমকি দিয়ে থাকেন। আজকের দিনে কে কাকে ভয় পায়?
কর্ণাটকে হিজাব (Hijab Controversy)নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে এআইএমআইএমের প্রধান তথা হায়দ্রাবাদের সাংসদ বলেন, এই ঘটনা অন্য ধর্মের পড়ুয়াদের কাছে বার্তা দিচ্ছে মুসলমানেরা অন্য ধর্মের থেকে নিচু। রীতিমতো ঝাঁঝালো গলায় বলেন, যখন একজন হিন্দু, একজন শিখ, খ্রিস্টান পড়ুয়াকে তাদের ধর্মীয় চিহ্ন পরে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়, সেখানে একজন মুসলিমকে বাধা দেওয়া হয়। তারা মুসলিম পড়ুয়াদের সম্পর্কে কী ভাবে? তারা অবশ্য ভাবে মুসলিমরা তাদের অনেক নীচে। এরপরই জোর দিয়ে বলেন, একজন হিজাব পরা মুসলিম মহিলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি আগেও একথা বলেছিলেন এবং আবার বলবেন। এ কথা শুনে অনেকের পেটে ব্যথা হয়েছ এবং মাথায় যন্ত্রণা হয়েছিল। এ কথা শুনে রাতে ঘুমোতে পারেননি।
আসাদুদ্দিন বলেন, যখন তিনি বলেছিলেন তাঁর জীবিতকালে না হলেও তাঁর মৃত্যুর পর একজন হিজাব পরা মুসলমান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন। এটা তাঁর স্বপ্ন। এমন স্বপ্ন দেখায় কী ভুল রয়েছে? আপনারা বলছেন হিজাব পরা উচিত নয়। তাহলে কি বিকিনি পরবে? কারো পছন্দমতো পোশাক পরার অধিকার রয়েছে। তাহলে কেন বলা হচ্ছে তাঁর মেয়েদের হিজাব খুলে ফেলার জন্য। কেনই বা তাঁকে বলা হচ্ছে দাড়ি কেটে ফেলার জন্য। আপনারা কেন চাইছেন ইসলাম ও মুসলমান সংস্কৃতি তাঁর মধ্যে থাকবে না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়াকে উদ্ধৃত করে আসাদুদ্দিন বলেন, ওই বিচারপতি বলেছেন যদি মুসলিম মেয়েরা বাড়ি ও বাইরে হিজাব পরে থাকতে পারে, তাহলে কেনই বা হিজাব পরে ক্লাস করতে পারবে না ? এটা তাদের মর্যাদা ও গোপনীয় বিযয়। বিজেপি ও আরএসএসকে চ্যালেঞ্জ করে আসাদুদ্দিন বলেন তারা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেটা কোনও ব্যাপার নয়। মুসলিম মহিলারা তাদের নিজের পছন্দমতো হিজাব পরবেনই। এই অভ্যেস ভারতের সংবিধান অনুমতি দেবে।