মহানগর ডেস্কঃ ‘কখন কী হয় কে বলতে পারে?’ এই তো মাত্র ক’দিন আগেই তিনি দীপাবলির আলোর উৎসবে মাতলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তার আগে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো, দুর্গাপুজো সবেতেই জমিয়ে মজা করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। কিন্তু আচমকাই জীবনের ছন্দপতন। মঙ্গলবার রাতে আচমকাই ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যায় ঐন্দ্রিলার। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এই মুহূর্তে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক তিনি। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, বুধবার তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত অভিনেত্রীর শরীরের এক দিক সম্পূর্ণ অসাড়। বাঁ হাত আর চোখ সামান্য নড়াচড়া করতে পারছেন তিনি। তবে ৪৮ ঘন্টা না কাটা পর্যন্ত এখনই কিছু বলতে পারছেন না চিকিৎসকেরা।
প্রায় বছর সাতেক আগে ২০১৫ সালে শিরদাঁড়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। প্রায় দেড় বছর কঠিন লড়াইয়ের পরে সুস্থ হয়েছিলেন তিনি। গত বছর আবার তাঁর জীবনে দুঃস্বপ্নের দিনগুলি ফিরে এসেছিল। হঠাৎ কাঁধে সাংঘাতিক যন্ত্রণা অনুভব করায় একের পর এক টেস্ট করতে হয় তাঁকে। ডানদিকের ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে।
একাধিকবার ঝুঁকিপূর্ণ সার্জারির পরে কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন চলেছে। মুখের হাসি অমলিন হয়নি কখনও। উল্টে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্য, কাছের বন্ধুরা। আর ছায়াসঙ্গী হিসেবে সবসময় পাশে ছিলেন তাঁর কাছের মানুষ অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী।
সেইসব লড়াই জয় করে ধীরে ধীরে ফিরছিলেন পুরনো ছন্দে। তাঁর জয়ের কথা শুনে অনুগামী থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকার ইন্সপিরেশন তিনি। অনুগামীরাও স্বস্তি পেয়েছিলেন তাঁর ফিরে আসায়। মঙ্গলবার হঠাৎই ছন্দপতন। যদিও তাঁর পরিবার এবং সব্যসাচী চৌধুরীর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। অনুগামীদের বারবার প্রার্থনা তাঁর সুস্থ হয়ে ফেরার।