Home Entertainment Aindrila sharma : ফিনিক্স পাখি হয়ে ফেরা হলো না ঐন্দ্রিলার, শেষ কুড়ি দিন আপ্রাণ লড়াই চালিয়েছিলেন অভিনেত্রী

Aindrila sharma : ফিনিক্স পাখি হয়ে ফেরা হলো না ঐন্দ্রিলার, শেষ কুড়ি দিন আপ্রাণ লড়াই চালিয়েছিলেন অভিনেত্রী

by Oindrila Chakraborty

মহানগর ডেস্ক : গত রবিবার যখন লড়াইটা থামালেন ঐন্দ্রিলা তখনও এক মুহূর্তের জন্য সবাই আশা করেছিলেন ফের হয়তো ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে আসবে সে। তবে সেসব অলৌকিক বোধহয় চিত্রনাট্যতেই সম্ভব। তার লড়াকু মনোভাবের কাছে হার মেনে ছিল ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ। দু দুবার ক্যান্সারকে রীতিমত গোল দিয়ে ফিরে এসেছেন নিজের মনের জোরে। যে লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে আপামর মানুষ। তাই এবারে বাসা করেছিলেন অলৌকিক কিছু ঘটতেই পারে। যেভাবে যমে মানুষে টানাটানির মাঝেও বার এমন কিছু ঘটাচ্ছিলেন স্বাভাবিকভাবেই আশাটা সবার মনের মধ্যেই কোথাও একটা ছিল ফিরে আসবে সে। ফিরতে তাকে হবেই। তবে ভাগ্যের পরিহাসে শেষ পর্যন্ত লড়াইতে হার মানতে বাধ্য হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।

যেভাবে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন তিনি ঘুনাক্ষরেও জানতেন না চলতি মাসের শুরুতে আর এক লড়াই নতুন করে লড়তে হবে তাকে। নভেম্বরের ১-২০ এই কুড়ি দিন এক জেদি মেয়ের লড়াই দেখেছিলে গোটা বাংলা।বয়সটা কম ছিল তাই চিকিৎসক থেকে পরিবার প্রিয়জন প্রত্যেকেই ভেবেছিলেন এবারের লড়াই টাও একেবারে দেখিয়ে দেখিয়ে জিতবে সে। তার খবর জানতে প্রত্যেকেই চোখ রাখতেন খবরের কাগজের পাতায় কিংবা টিভির পর্দায়। ‘কেমন আছে ঐন্দ্রিলা’, ‘কতটা উন্নতি ঘটলো তার’ শুধুমাত্র এই প্রশ্ন ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছে সবার মনে। এমনকি যারা হয়তো কোনদিন ঐন্দ্রিলার অভিনয় দেখেনি তাদের মনেও তাড়া করেছে এই প্রশ্ন।

একটা ২৪ বছরের মেয়ের কাহিনী রাতারাতি মন জিতেছে আমজনতার। পাশাপাশি এক সত্যিকারের ভালোবাসার সাক্ষী রেখেছে সাধারণ মানুষ। ঐগুলা এবং তার পাশের মানুষ সব্যসাচী যেভাবে একসঙ্গে লড়াইটা লড়েছে তাতে আগামী বেশ কয়েক দশক তারা ভালোবাসার উদাহরণ হিসেবে থেকে যাবেন। তবে এই কুড়ি দিনের লড়াইটা ছিল ভীষণ শক্ত। ব্রেন স্ট্রোক তারপর সেই থেকে মাথায় অস্ত্র পচার, কোমা লড়াইটা যেন শুরুর থেকে অন্যরকম ছিল। আশার একটু আলো যেই দেখছিলেন চিকিৎসক থেকে পরিবারের লোকেরা হঠাৎ করেই দেখা যায় ইউয়িংস সারকোমায় আক্রান্ত হয়েছেন ঐন্দ্রিলা। যা এক ধরনের ক্যান্সার। হুহু করছে ছড়িয়ে পড়ছে সেটি অভিনেত্রী শরীরে। ছেড়ে ওঠার আশা ক্ষীন। তবুও লড়াই ছাড়েননি চিকিৎসকেরা। নিউরোসার্জন নিউরোলজিস্ট একাধিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থেকে রেডিওলজিস্ট প্রত্যেকেই এক বিশেষ দল তৈরি করে চিকিৎসা শুরু করেন সব রকম ভাবে। হঠাৎ করেই শনিবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। মাইন্ড অ্যাটাক হলেও সামলে নিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।

তবে তারপর থেকেই যেন অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। আচমকা একসঙ্গে ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত ঐন্দ্রিলা। রবিবার সকালে আরো একবার। আর নিতে পারল না ছোট্ট মেয়েটা। ১২:৫৯ লড়াই থামিয়ে ঘুমোল সে। যে ঘুম আর কোন দিন ভাঙার নয়। এক নতুন দেশে তারাদের সঙ্গে পাড়ি দিলেন লড়াকু ঐন্দ্রিলা।

You may also like