মহানগর ডেস্কঃ ই টুথব্রাশকে ই সিগারেট ভেবে ভুল করল বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর সেই ভেবে নেওয়া থেকেই টানা দু’দুটো দিন যাত্রীর ব্যাগ আটকে থাকে বিমান বন্দরেই। ফলত চরম ভোগান্তি যাত্রীর।
পেশায় আই টি কর্মী বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা মির্জা মহম্মদ আশরান বেগ। ২৪ বছর বয়সী মির্জা গত ১১ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশে গোরখপুরে নিজের বাড়ি যাওয়ার জন্য লখনৌগামী এয়ার এশিয়ার টিকিট কেটেছিলেন। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর থেকে তিনি উড়ানে ওঠেন। লখনৌ পৌঁছে যাওয়ার পরে মির্জা জানতে পারেন তাঁর লাগেজ আটকে পড়ে আছে বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দরেই। বিমানবন্দর সূত্রে তাঁকে জানানো হয় তাঁর লাগেজে ই সিগারেট পাওয়া গিয়েছে। মির্জার দাবি, তিনি কোনওদিনই ধূমপান করেননি। তাই তাঁর ব্যাগে ই সিগারেট পাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, এমন বলে তিনি বিমানবন্দরের কর্মীদের জানান। কিছুতেই কর্মীরা তাঁকে বিশ্বাস করতে পারেন না। উপরন্তু তাঁকে জানানো হয়, ব্যাগ ফেরত পাওয়ার জন্য তাঁকে বাগে থাকা ই সিগারেট ফেলে দেওয়ার জন্য চিঠি লিখতে হবে। বাধ্য হয়ে চিঠি লিখতে হয় তাঁকে। সঙ্গে গোটা একটা দিন নষ্ট করে তাঁকে লখনৌয়ে আটকে থেকে যেতে হয়। পরেরদিন তাঁর ব্যাগ বিমানবন্দরে পৌঁছলে তা ফেরত পান তিনি।
মির্জার দাবি, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ই টুথব্রাশকে ভুল করে সিগারেট ভেবেছে। ব্যাগ আটকে রেখে সময় নষ্ট করেছে। সে কারণে মির্জা ক্ষতিপুরণ দাবি করেছএন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। এয়ার এশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, রিচারজেবল ই টুথব্রাশ চেকড ইন লাগেজে নিষিদ্ধ। তা হ্যান্ড ব্যাগে ব্যাটারি খুলে নেওয়া যেতে পারে। তবে মির্জার ই টুথব্রাশে ইনবিল্ট ব্যাটারি রয়েছে, সেটি ইউ এস বি-র মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যায়।
রিচার্জেবল ই টুথব্রাশ চেকড ইন লাগেজে না নিয়ে হ্যান্ডব্যাগে নেওয়ার কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য ব্যাটারিযুক্ত যে কোনও জিনিসই হ্যান্ডব্যাগে নেওয়ার কথা। যদিও বেশ কিছু বিমান সংস্থা ওই ধরণের সামগ্রীকে চেকড ইন লাগেজে রাখার অনুমতিও দিয়ে থাকে। ফলত কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা না থাকার কারণে বারবার হয়রানির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের।