মহানগর ডেস্ক: সকালের খবর সত্যি করেই পৃথীবির আলো দেখলো রনলিয়ার সন্তান। বিয়ের ৭ মাসের মাথায় প্রাকৃতিক ভাবেই (Normal baby) মুম্বইয়ের এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন আলিয়া ভট্ট। স্বপ্নপূরণের আরও এক ধাপ উপরে পৌঁছে গেলেন রনলিয়া। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ আলিয়াকে নিয়ে রণবীর কপূরের হাসপাতালে ভর্তি করানোর ছবি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। কাপুর ও ভট্ট পরিবারের সঙ্গেই তাদের অগণিত ভক্ত অপেক্ষা করছিলেন সেই শুভ মুহূর্তের জন্য। প্রত্যেকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পৃথিবীতে এসেছে রনলিয়ার ছোট্ট পুচকি।
চলতি বছরের এপ্রিলেই তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধেন। গত জুন মাসেই আলিয়া তাঁর জীবনের প্রথম হলিউড ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকার সময়ই সন্তান আগমনের সুখবর ভাগ করে নিয়েছিলেন রণলিয়া। হাসপাতালের শয্যা থেকে একটি আল্ট্রা সাউন্ডসেশনের ছবি পোস্ট করে হবু মা লিখেছিলেন, “আওয়ার বেবি কামিং সুন।” তার ৫ মাসের মধ্যে পৃথিবীর আলো দেখল রণবীর-আলিয়ার সন্তান। এই নিয়ে কপূর ও ভট্ট পরিবারে এক সাজ সাজ রব। এই দিনটির স্বপ্ন দেখছিলেন নীতু কপূর থেকে শুরু করে সোনি রাজদান, মহেশ ভট্ট, শাহীন। আর রণবীর? সেটা তো আলাদা করেই বলতে হয়। তিনি ভাল বাবা হওয়ার জন্য আলিয়ার দেওয়া সন্তান মানুষ করার বই পড়তেই পড়তেই হাঁপিয়ে গেছেন।
এদিন সকালে মুম্বইয়ের ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সকালেই জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনও সময়ই হতে পারে আলিয়ার সন্তান। কিন্তু ভর্তির ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভূমিষ্ট হয় রনলিয়ার সন্তান। আলিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর পরে একে একে রওনা দিয়েছিলেন কপূর এবং ভট্ট পরিবারের বাকি সদস্যরা। যেহেতু নরম্যাল ডেলিভারি চেয়েছেন ২৯ বছরের অভিনেত্রী তাই প্রতীক্ষার প্রহর ছিল আরও দীর্ঘ। তবে প্রতীক্ষা শেষে বিলাসবহুল হাসপাতালের লেবার রুমে নবজাতকের কান্না শুনে খুশি প্রত্যেকেই। আগামী ২৮ নভেম্বর আলিয়ার ৩০ বছরের জন্মদিন পালনের সঙ্গে সঙ্গেই কপূর পরিবারে নবজাতক আর তার মাকে ঘিরে ঘরোয়া পরিমণ্ডলের এই উদযাপন এক অন্য মাত্রা নিতে চলেছে। এমনকি দাদু হতে চলা মহেশ ভট্টের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, “নতুন সূর্য ওঠার অপেক্ষা। তরতাজা শিশিরের মতো নতুন জীবনের স্পন্দন আসতে চলেছে।”