Home Featured Himanta Biswa Sharma: ‘সমস্ত কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে’, মন্তব্য হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

Himanta Biswa Sharma: ‘সমস্ত কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে’, মন্তব্য হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

by Anamika Nandi
Himanta Biswa Sharma: 'সমস্ত কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে', মন্তব্য হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

মহানগর ডেস্ক: শনিবার হাওড়ায় প্রায় ৫০ লক্ষ নগদ সহ গ্রেফতার হয়েছে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক। শোরগোল পরে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে, কোথা থেকে কীভাবে এলো এই টাকা? কখনও ফ্ল্যাট থেকে তো কখনও গাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই ওই তিন জনকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে হাত শিবির। পাশাপাশি টাকার উৎস জানতে ১০ দিনের সিআইডি হেফাজাতে পাঠানো হয়েছে তাঁদেরকে। কিন্তু এই আবহে আঙুল উঠেছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sharma) দিকেও। হাত শিবির জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের মতোই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেসের জোট সরকারকে ভাঙতে টাকার ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির।

গেল শনিবার হাওড়ার পাঁচলা থেকে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের গাড়ি আটক করা হয়েছে। তার ভেতর থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি নগদ উদ্ধার হয়েছে‌। সূত্র অনুযায়ী, ধৃতদের নাম জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিজরির বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল কোঙ্গারিকে। এদিকে অভিযুক্ত তিনজন টাকা উদ্ধার নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও কংগ্রেস ও বিজেপি নানা ধরনের মন্তব্য করেছে।

প্রসঙ্গে কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘বিধায়ক কেনা-বেচার জন্য অভিযুক্ত তিন বিধায়ককে টাকা দিয়েছিল বিজেপি। এদিকে গেরুয়া শিবিরের কথায়, জেজেএম-কংগ্রেসের জোট সরকারে যে দুর্নীতি চলছে তার প্রমাণ হল এই উদ্ধার হওয়া টাকা। অন্যদিকে আবার কুমার জয়মঙ্গল নামে কংগ্রেসের অপর এক বিধায়ক রাঁচীতে ওই তিনজনের নামে পুলিশি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যে সরকার ভাঙার জন্য ১০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্তরা। তাঁরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশেই কাজ করছিলেন।

মূলত এই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র, দেশদ্রোহিতা এবং দুর্নীতি বিরোধী আইনে দায়ের করা হয়েছে মামলা। প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “আমার অদ্ভুত লাগছে জয়মঙ্গলবাবু বলেছেন, ওই তিন বিধায়কের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু উনি আমাকে বহু বছর ধরে চেনেন। আমার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য কোনও মধ্যস্থকারীর প্রয়োজন হয় না। এফআইআরএ উনি এমনভাবে বলেছেন, যেন আমাকে উনি চেনেন না’।

বিশ্ব শর্মার বক্তব্য, চাপে পরে এই কথা বলছেন বিধায়ক। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, শুধু ঝাড়খণ্ড নয়, কর্ণাটক-মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। পরামর্শ নিতে তাঁরা ফোন করে থাকেন। কংগ্রেস নেতা-বিধায়কদের সঙ্গে সম্পর্ক রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ওই দলে থাকায়, নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে।

You may also like