Home Entertainment Amir-kiara advertisement: ওটিটি থেকে উধাও আমির-কিয়ারা! হিন্দুত্ববাদের চোখরাঙানিতে সরানো হল বিজ্ঞাপন

Amir-kiara advertisement: ওটিটি থেকে উধাও আমির-কিয়ারা! হিন্দুত্ববাদের চোখরাঙানিতে সরানো হল বিজ্ঞাপন

by Arpita Sardar

মহানগর ডেস্ক: চিরাচরিত নিয়মের বাইর গেলেই এখন ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাতের রব তুলে রে রে করে উঠতে ভুলছেন না হিন্দুত্ববাদীরা। তার কবলে পড়ে কখনও ব্যান হচ্ছে চলচ্চিত্র (Film) তো কখনও আবার বিজ্ঞাপন (Advertisement)। আবারও কট্টর হিন্দুত্ববাদের রোষের শিকার কিয়ারা আডবানী ও আমির খান অভিনীত নতুন বিজ্ঞাপন (Amir Kiara Advertisement Removed)। এটি মূলত একটি স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্কিং সংস্থার ওই বিজ্ঞাপন। সেটিকে উপস্থাপনা করা হয়েছে সমাজে চলে আসা একটি চিরাচরিত নিয়মের উল্টো পথে হেঁটে। তারপর থেকেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে সেই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে। শেষমেশ চাপের মুখে পড়ে সেটি ওটিটি প্লাটফর্ম থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি নেটমাধ্যমে নতুন বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গেই একটি বড় অংশের দর্শকদের কাছে সেটি যেমন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল তেমনই প্রশংসিত হয়েছিল আমিরের সঙ্গে কিয়ারার প্রথম কাজ হিসেবে। কিন্তু সামাজিক রীতির উল্টো পথে হেটে চলা বিজ্ঞাপন সমালোচনার মুখে পড়বে না তা আবার হয় নাকি। কটাক্ষের শিকার হন অভিনেতারাও। আর সেই কটাক্ষ করছেন এক চলচ্চিত্র পরিচালক? অবাক হলেও সত্যি। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী প্রশ্ন তুলে বসেন, ব্যাঙ্কিং সংস্থার বিজ্ঞাপনে হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি নিয়ে কাটাছেঁড়া কেন!

কী এমন দেখানো হয়েছিল বিজ্ঞাপনে যে সেটি সরিয়ে নিতে হল?
বিজ্ঞাপনটির শুরুতেই দেখা যাচ্ছে একটি গাড়ির মধ্যে বর কনের সাজে বসে রয়েছেন
কিয়ারা ও আমির। তারপরই দেখা যাচ্ছে আমির আসছেন কিয়ারার বাড়ি। কিয়ারার বাড়িতে বরণ করা হচ্ছে জামাইকে, আমির সকলের দেখভালের দায়িত্বও নিচ্ছেন। অর্থাৎ সামাজিক প্রথা অনুযায়ী যেখানে বিয়ের পরে কনের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার রীতি, সেখানে তা না হয়ে, বিয়ের পরে নিজের বাড়ি ছেড়ে বর শ্বশুর বাড়ি এসে সম-দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার বার্তা দিয়েছে বিজ্ঞাপনটি। সাধারণভাবে বলা যায় একটি গতানুগতিক ধারা প্রবাহে বদল আনার বার্তা দিচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে সমস্যার উৎস খুঁজে পেয়েছেন হিন্দুত্ববাদীরা। তাঁদের দাবি, বিজ্ঞাপনটি হিন্দুধর্মের বিয়ের রীতি বদলে ফেলার নির্দেশ দিচ্ছে। এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর প্রশ্ন, ‘ব্যাঙ্কগুলি কবে থেকে সামাজিক এবং ধর্মীয় রীতি বদলের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল?’ শুধু তাই নয়, সমস্ত কাজই খুব বোকামি বলে দাবি করছেন তিনি। বলেছেন এরপর এটার প্রতিবাদ হলে হিন্দুদের নামে দোষ চাপানো হবে!

তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও গতানুগতিক ছকে বাঁধা নিয়ম কানুন ভাঙতেই একাধিক বার চরমপন্থীরা ভাবাবাগে আঘাতের অভিযোগ তুলে শিল্পের স্বাধীনতার কণ্ঠোরোধ করতে দুবার ভাবেননি। পিছুপা হননি শিল্পীর প্রকাশভঙ্গির চিন্তাকে আদা থেঁতো করতে। এপ্রসঙ্গে মনে পড়ে যায় গত বছরের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারের বিজ্ঞাপন সব্যসাচীর মঙ্গলসূত্র, ডাবরের কারবা চৌথ, ফ্যাব ইন্ডিয়ার দীপাবলির বিজ্ঞাপনের কথা।

You may also like