মহানগর ডেস্ক: সম্প্রতি মেয়ের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির নামে লাইসেন্স তৈরি করে গোয়ায় পানশালা-রেস্তোরাঁ চালানোর অভিযোগ উঠতেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির (Congress) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। এবার তিন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যে তালিকায় নাম রয়েছে পবন খেরা, জয়রাম রমেশ, ও নেট্টা ডিসুজার। নোটিসে অভিযোগ প্রত্যাহারের পাশাপাশি লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্মৃতি।
পানশালা বিতর্কে কংগ্রেস নেতাদের দিকে আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মূলত সম্প্রতি একটি শো-কজ নোটিস দেখিয়ে হাত শিবির দাবি করেছে, স্মৃতি ইরানির মেয়ের কাছে জবাব চেয়েছে গোয়ার আবগারি দফতর। এরপরই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। শনিবার স্মৃতি ইরানি বলেছেন, “গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছি বলেই আমার মেয়েকে নিশানা করা হয়েছে। মধ্যবয়স্ক দুই নেতা ১৮ বছরের তরুণীর চরিত্রহননে নেমেছেন। মায়ের সনিয়া-রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাজা পেতে হচ্ছে মেয়েকে”।
এদিকে ইরানির পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, গোয়ার সিল সোলস রেস্তোরাঁর সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয় জইস। তিনি কোনও শো-কজ নোটিস পাননি। প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন সিলি সোলস ক্যাফে অ্যান্ড বার নামে গোয়ার একটি রেস্তোরাঁর লাইসেন্স রিনিউ করা হয়। যে ব্যক্তির নামে লাইসেন্সটি নথিভুক্ত হয়েছিল, তাঁর নাম অ্যান্থনি ডি’গামা। কিন্তু জানা গিয়েছে, তিনি লাইসেন্স হোল্ডারে সাইন করেননি। তাঁর জায়গায় অন্য একজন নথিপত্রে সই করেন। তারপরেই জানা যায়, ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছে ২০২১-এর ১৭ মে।
আর সেই মৃত ব্যক্তির নামে বারের লাইসেন্স পুনর্নবিকিরণের অভিযোগ ওঠে স্মৃতি কন্যার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী এরেস রড্রিগোয়েজের দাবি, ওই পানিশালার লাইসেন্স পুনর্নবিকিরণের জন্য জাল নথি জমা করেছিলেন জইশ ইরানি। এরপরই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী পক্ষ। আর তারপরই এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবির।