মহানগর ডেস্ক: নৃশংস বললেও কম বলা হয় ! মন্দিরের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের সমানে সপাসপ করে চাবুক মারা হচ্ছে। মাথা পেতে থাকা পুরুষদের মাথায় ফাটানো হচ্ছে নারকেল। তামিলনাডুর ত্রিচিতে বিজয়া দশমীতে এভাবেই করা হয় অশুভ শক্তির বিনাশ (Evil Drive) এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি। ত্রিচির ভেল্লালাপট্টি গ্রামে প্রতিবছরই আচাপ্পান মন্দিরে উৎসব হয়। প্রাচীন মন্দিরের পুরোহিতেরা (Priest) ঝলমলে পোশাক পরে শতকের পর শতক ধরে চলে আসা এই প্রথা পালন (Ancient Custom) করে আসছেন। বিজয়াদশমীতে আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ আসেন এখানে। তারপর আচাপ্পান মন্দিরে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়।
একুশ শতকে মোদীর ভারত বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নিয়ে যতই গর্ব করুন, সবার হাতে যতই ঘুরুক অ্যান্ড্রয়েড ফোন, এই প্রথা কিন্তু চলেই আসছে পরম্পরায়। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী পুরোহিতেরা পুরুষদের মাথায় নারকেল ফাটান এবং লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের চাবুক মারেন। দাঁড়িয়ে থাকা মহিলারা হাঁটু মুড়ে পুরোহিতদের সামনে বসার পর চাবুক মারা চলতেই থাকে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে তামিলনাডুর নামাক্কাল জেলায় একজন পুরোহিত কালো জাদুর অভিশাপে অভিশপ্ত মহিলাদের দোষমুক্ত করতে তাঁদের ক্রমাগত চাবুক মেরে চলেছেন। রসিপুরমের কাছে নারাইকিনার গ্রামে প্রাচীন রীতি মেনে কাটেরি দেবতার মতো পোশাক পরে একাধিক মহিলাকে নির্বিচারে চাবুক মেরে চলেছেন। এই কাটেরি দেবতাকে গ্রামবাসীরা অশুভকে দূর করতে উপাসনা করে থাকেন। এই রীতি অবশ্য কুড়ি বছর পর পালন করা হচ্ছে। কালো জাদুর কবল থেকে রক্ষা করতে এমন নৃশংসভাবে নির্বিচারে চাবুক মারার দৃশ্য ভিডিওয় দেখানোর পর শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।