মহানগর ডেস্ক: কংগ্রেস নেতার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) বিরুদ্ধে। ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi), দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রের শাসকদলের সাংসদরা। তবে এই আবহেও খুশি অধীর বাবু। কারণ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সনিয়া গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, একজন অভিভাবকের মতো পাশে পেয়েছেন দলনেত্রীকে।
গতকাল সংসদ থেকে বেরিয়ে সনিয়া গান্ধী অধীর বাবুর ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে বলেছেন, “উনি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন”। বৃহস্পতিবার জরুরী বৈঠক ডেকেছিলেন সভানেত্রী। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরীও। নেত্রীকে নিজের পাশে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পরেন অধীর বাবু। জানিয়েছেন, “আজ নিজেকে অনাথ বলে মনে হচ্ছে না। সনিয়াজির মধ্যে একজন অভিভাবককে পেয়েছি আমি”।
মূলত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে “রাষ্ট্রপত্নী” বলে সম্বোধন করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন তিনি, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরে। গতকাল তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে উত্তাল হয় সংসদের দুই কক্ষ। কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অন্যদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, “আমি বারবার বলেছি যে মুখ ফসকে ওই শব্দ আমি বলে ফেলেছি। রাষ্ট্রপতিকে অপমান করার কথা আমার মাথাতেও নেই। এটা একটা ভুল মাত্র। যদি রাষ্ট্রপতির খারাপ লেগে থাকে তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ওঁনার সঙ্গে দেখা করব এবং ক্ষমা চাইব। কিন্তু ভন্ডদের কাছে কোনওভাবেই মাথা নিচু করব না”।
তাঁর বক্তব্য, ‘আমি বাঙালি। হিন্দিতে অতটাও সড়গড় নই। সেই কারণে এই ধরনের ভুল হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও বারবার অনুরোধ করেছিলাম যে, মুখ ফসকে ওই কথা বলে ফেলেছি। তা যেন দেখানো না হয়। কিন্তু একটি চ্যানেল তা নিয়ে ইস্যু তৈরি করে। এদিন সনিয়া গান্ধীর ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “বিজেপি চাইলে আমাকে ফাঁসিতেও ঝুলাতে পারে। তবে সনিয়াজিকে কেন এই বিষয়টা টানটানি করা হচ্ছে তা জানিনা”।