মহানগর ডেস্ক: এক হিন্দু মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কর্ণাটকে সদ্য চালু হওয়া ধর্মান্তর বিরোধী আইনে (Anti Conversion Law) এক যুবককে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরু পুলিশ (Bengaluru Police)। দ্য কর্ণাটক প্রোটেকশন অব রাইট টু ফ্রিডম অব রিলিজিওন অ্যাক্টের অধীন এই প্রথম কারোকে গ্রেফতার করা হল। গত আট তারিখে ইয়েশ্বনথপুর থানায় প্রথম নতুন এই আইনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়। গত তিরিশে সেপ্টেম্বরে এই আইন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। তারপরই প্রথম কারোকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশের তরফ থেকে মোট দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একটি হল অপহরণ, (Kidnap) অন্যটি ধর্মান্তর বিরোধী আইন (Anti Conversion Law)। এই দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে উত্তর বেঙ্গালুরুর বাইশ বছরের সঈদ মুহিনের বিরুদ্ধে। সে তার প্রতিবেশি খুশবু যাদবকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তর করে। খুশবুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মুহিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুজন দুজনকে মাস ছয়েক ধরে চিনতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুহিন কাজ করতো একটি মুর্গির দোকানে। খুশবুরা আগে থাকতো উত্তরপ্রদেশে। পরে এখানে পাকাপাকিভাবে বাস করতে শুরু করে। খুশবুর বাবা একজন শিল্পী। সে তাদের চার সন্তানের একজন। খুশবু স্কুলের ড্রপ আউট। পড়াশোনা ছেড়ে সে বাড়িতেই থাকতো। অক্টোবরের ছ তারিখে খুশবুর মা গায়ত্রী দেবী প্রথমে থানায় মিসিং ডায়রি করেন।
পুলিশকে তিনি জানান তাঁর সন্দেহ মুহিন তাঁর মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এরপর তিনি ধর্মান্তর বিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে গায়ত্রী দেবী জানান, গত পাঁচ অক্টোবর তাঁর মেয়ে খুশবুকে মুহিন অন্ধ্রপ্রদেশের পেনুকোন্ডার কাছে একটি দরগায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা বলে। দরগায় ধর্মান্তরিত হওয়ার পর খুশবুকে মুহিন বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসে। যদিও তাদের মধ্যে বিয়ে হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া নিয়ে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও কিছু জেলা কমিশনারকে জানানো হয়নি। তিনি মুহিন ও তাঁর মেয়েকে ধর্মান্তরে সাহায্য করেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেছেন। গায়ত্রী দেবী জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে অন্যদের মতো বুদ্ধিমতী নয়। সে কারণে তাঁর মেয়ে এই কাজ করেছে।