মহানগর ডেস্ক: হিজাব বিতর্কে ইরানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ (Anti Hijab Protest) থামার কোনও লক্ষণ নেই। দিন যত যাচ্ছে,ততই তীব্র হচ্ছে প্রতিবাদ। ইতিমধ্যে প্রতিবাদীদের ওপর গুলি চালিয়ে একশোরও বেশি মানুষকে মারার ঘটনায় অগ্নিগর্ভ ইরান (Iran Unrest)। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বহু মানুষকে। তাদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পথে এগোচ্ছে ইরানের সরকার। এরই মধ্যে এবার প্রতিবাদ-বিক্ষোভের অঙ্গ হিসেবে মৌলবীদের পাগড়ি কেড়ে নেওয়ায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ নতুন চেহারা নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে রাস্তায় হাঁটতে থাকা এক মৌলবীর পাগড়ি দৌড়ে গিয়ে কেড়ে নিচ্ছে এক তরুণী। আরেকটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে বাসস্টপে এক মৌলবীর পাগড়ি খুলে নিচ্ছে এক পথচারী।
হিজাব না পরায় নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা বাইশ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরানের মহিলারা। তাঁরা হিজাব খুলে চুল কেটে প্রতিবাদ জানান। এরপর হিজাব পুড়িয়ে ইসলামিক রাষ্ট্রের বিধানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানান। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষেরাও পথে নামেন। প্রতিবাদ ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমনমূলক নীতি নেয় ইসলামি রাষ্ট্র। প্রতিবাদ-বিক্ষোভকারীদের ওপর ইরানের পুলিশ গুলি চালায়। মারা যান বহু মানুষ। গুলি করে হত্যার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় বহু প্রতিবাদকারীকে। কিন্তু তাতেও থামানো যায়নি প্রতিবাদ বিক্ষোভ। কিছুদিন আগে সারিনা সায়েদি নামে আরেক ১৬ বছরের এক কিশোরী ইরান পুলিশের গুলিতে মারা যায়। যদিও ইরান পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছে। গত সপ্তাহে নিহত কিশোরীর অন্ত্যষ্টিতে তেহরানের একবাতানের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা দেশের একনায়কতন্ত্রীর মৃত্যু দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। মহিলারা হিজাব খুলে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের আটকাতে ইরান পুলিশ গ্রেনেড ছোড়ে। এই মুহূর্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুধু মহিলা,সাধারণ মানুষই নন। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া হিজাব বিরোধী আন্দোলনে পায়ে পা মিলিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরাও।