মহানগর ডেস্কঃ একেই গরু পাচার কান্ডে বিগত কয়েক্মাস ধরেই শ্রীঘরে বন্দী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আদরের ‘কেষ্ট’। আর তারই মাঝে তদন্ত চলতে চলতে কেঁচো খুঁড়তে খুঁড়তে ক্রমগত সাপ বেরিয়েই চলেছে। তালিকায় রেশন থেকে বেলাগাম দুর্নীতি কী নেই? এইসব কিছুর মাঝেই রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে কেষ্টকে জেরার তোড়জোড় করছে গোয়েন্দাকারী সংস্থা।
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন ইডি-র তরফে জানানো হয়েছিল আদালতে। সেই আবেদন মঞ্জুর হতেই দিল্লি আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন অনুব্রতর আইনজীবী। সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয় ৭ দিন। এই শুনানির দিন পিছিয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডলকে কোনওভাবেই দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারবে না। ফলত এই মুহূর্তে আপাতত স্বস্তিতে গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে জেরার জন্য রাজধানীতে নিয়ে গেছে ইডি। তবে এখনও আসানসোল আদালতেই আছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিগত ১৭ নভেম্বর আসানসোল জেলে দফায় দফায় অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি জেরায় সঠিকভাবে সহযোগিতা না করায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আর এরপরেই তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার তোড়জোড় শুরু করে ইডি।
দিল্লির রাউলস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেওয়ার আবেদন জানায় ইডি। তা মঞ্জুর হতেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি থাকলেও, কাজের ব্যস্ততায় অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। এই কারণে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় দিল্লি হাইকোর্টে।