মহানগর ডেস্কঃ এবারের দুর্গাপুজো অনুব্রত মণ্ডলদের কেটেছে জেলে। একইরকম ভাবে জেলেই কাটবে কালীপুজো, ভাইফোঁটাও। তাই উৎসবের মরশুম বন্দীত্বেই কাটছে বীরভুম জেলা তৃণমূল সভাপতির। তবে তাতে কী? ‘যখন যেমন তখন তেমন’ এই সারসত্য প্রবচনই অনুব্রত মণ্ডল জীবনে প্রয়োগ করে নিচ্ছেন। অবশ্য প্রয়োগ না করে উপায়ই বা কী? তাই বন্দী অবস্থাতেই জেলে উৎসব উপভোগ করতে চান অনুব্রত।
এর দুর্গাপুজোর সময়ে জেল আধিকারিকেরা পুজোর চারদিন তিন বেলা মাছ, মাংস, মিষ্টি, খিচুড়ি ইত্যাদির আয়োজন করেছিলেন। সেও ছিল একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডলের একান্ত ইচ্ছা অনুসারে। এমন আয়োজনে বন্দীরা অভিভুত তো বটেই। দুর্গাপুজোর মত কালীপুজোর দিনেও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ ধরণের মেনুর আয়োজনের আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল।
জেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুব্রত মণ্ডলের আবেদন ছিল দীপাবলির উৎসবে মেনুতে জেলবন্দীদের জন্য ফ্রায়েড রাইস এবং চিকেনের বিশেষ ব্যবস্থা রাখার। সেই আবেদনে রাজিও হয় জেল কর্তৃপক্ষ। তবে জেলের মহিলারা তাতে বাদ সেধেছেন। কালীপুজোর বিশেষ দিনে কয়েকজন মহিলা উপবাস রাখেন। সেহেতু ওই দিন বাদ দিয়ে অন্য কোনও দিন তাঁরা ওই মেনু রাখার কথা বলেন। মহিলা বন্দীদের সেই আবেদনের কথা অনুব্রতর কানে পৌঁছলে দিন পরিবর্তন করা হয়। কালীপুজোর বদলে ভাইফোঁটার দিনে জেলে এমন মেনু রাখা হবে বলে জানিয়েছে জেল কর্তৃপপক্ষ। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলের পাঁচশোরও বেশি বন্দীর জন্য বরাদ্দ থাকবে স্পেশ্যাল মেনু।
অন্যদিকে এই বছরই প্রথম জেলের কোনও বন্দীকে তাঁর বোন ফোঁটা দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বোনেদের জেল সুপারের কাছে লিখিত্ আবেদন জানাতে হবে। একসঙ্গে দুজন করে বোন জেল আধিকারিকের অফিসে পৌঁছে দুজন ভাইকে ফোঁটা দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন। জেল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশিতে জেলবন্দীরা।