মহানগর ডেস্কঃ শেষ হল তিন দিন ব্যাপী অষ্টম বর্ষ এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব বা এবিএসইউ। বিগত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল এই উৎসব। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন প্রখ্যাত ভাষাবিদ, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। উদ্বোধনের দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল অক্সফোর্ড বুক স্টোরের শতবার্ষিকী উপলক্ষে এই বুক স্টোর সূচনা করেছে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারের। যেখানে থাকবে প্রায় ২০০০ লিটল ম্যাগাজিনের সম্ভার। ভাষাবিদ পবিত্র সরকার জানিয়েছিলেন, অক্সফোর্ড বুক স্টোরের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশক এবং লেখকদের জন্য অন্যতম ভরসার জায়গা।
এবার সাহিত্য উৎসবের শেষ দিনেও সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য রইল বিশেষ চমক। উৎসব কমিটির তরফে জানানো হল, এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব (এবিএসএইউ) আর শুধুমাত্র কলকাতার উৎসব থাকবে না। যেহেতু উৎসবের জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বমুখী, তাই আগামী বছর থেকে এবিএসইউ অনুষ্ঠিত হবে কলকাতা-সহ ভারতের একাধিক শহরে। অক্সফোর্ডের সিইও এবং এবিএসইউ-এর ডিরেক্টর স্বাগত সেনগুপ্ত জানান, উৎসবের নবম বর্ষ থেকে, এবিএসইউ কলকাতায় এবং কলকাতার বাইরেও অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন মেট্রো শহর এবং বেশ কয়েকটি টিয়ার ২ শহরের বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তাঁদের কাছে অনুরোধ এসেছে, এই উৎসব যেন বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়। এই আবেদনে সাড়া দিয়েই আগামী বছর থেকে ভারতের বিভিন্ন শহরে পৌঁছে যাবে এবিএসইউ। স্বাগত বাবুর দাবি, উৎসবের নবম বর্ষ থেকে, এবিএসইউ কলকাতায় এবং কলকাতার বাইরেও অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন মেট্রো শহর এবং বেশ কয়েকটি টিয়ার ২ শহরের বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে এই মর্মে অনুরোধ এসেছে যে, এই উৎসব যেন বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে আগামী বছর থেকে ভারতের বিভিন্ন শহরে পৌঁছে যাবে এবিএসইউ।’ স্বাগত বাবু আরও জানান, উৎসবের নবম বর্ষ থেকে, এবিএসইউ দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ সাহিত্য উৎসব হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
এমনিতেও বিশ্ব পরিসরে এই উৎসবের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বরের এই উৎসবের লাইভ স্ট্রিমিং অনলাইনে করা হয়। ২৭টি বিশেষভাবে আয়োজিত অধিবেশনে এই উৎসব উপস্থিত করেছে বাংলার ৭২ জন সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্য বিষয়ক ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্বকে।
প্রকাশনা, সম্পাদনা থেকে আরম্ভ করে চলচ্চিত্র, রাজনীতি, সাংবাদিকতা সবক্ষেত্রেই সাহিত্যের অবাধ যাতায়াত সেসবই ছিল আলোচনার বিষয়। রবিবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নাট্যব্যক্তিত্ব শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিত রায় গবেষক দে মু, পরিচালক অনীক দত্ত, গায়ক রূপম ইসলাম, নাট্যব্যক্তিত্ব খেয়ালি দস্তিদার, সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষালের মত বিশিষ্ট জনেরা।