মহানগর ডেস্ক: অ্যাপ নির্ভর বিনিয়োগ সংস্থায় বিনিয়োগ করে (App Based Investment Scam) করে বিপুল লাভের টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত ( Crores Rupee Fraud) করার চক্রের পর্দা ফাঁস হল হায়দ্রাবাদে (Hyderabad)। চক্রের জাল ভারত থেকে চিন, তাইওয়ানে বিস্তৃত (Extended From India To China And Taiwan) । ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ কোটি কোটি টাকা খুইয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। বিনিয়োগকারীদের টাকা ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার পর স্বীকৃত ফোরেক্স সংস্থায় পাঠিয়ে দেওয়া হতো। এরপর ওই টাকা দেশের নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে ফাঁকি দিয়ে বেআইনিভাবে চলে যেতো অন্য দেশে।
হায়দ্রাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ জানিয়েছেন তাঁদের সন্দেহ দেশজুড়ে লক্ষলক্ষ বিনিয়োগকারীরা এই ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। শুধু দিল্লিতেই দশ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা হয়ে থাকতে পারে। মোট প্রতারণার অঙ্ক কয়েক হাজার কোটি টাকা বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত নশো তিন হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের হদিশ পেয়েছে। এই চক্রে জড়িত সন্দেহে এক চিনা নাগরিক ও তাইওয়ানের নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দুজন গত ২০১৯-২০২০ সালে ভারতে কর্মী নিয়োগ করতে আসে। তবে কোভিড অতিমারিতে তারা দেশে ফিরে যায়। ফের প্রতারণা শুরু করার পর তারা চিন ও তাইওয়ানের বসদের কাছে বিনিয়োগকারীদের খুঁটিনাটি তথ্য জানায়।
গত জুলাই মাসে হায়দ্রাবাদের এক বাসিন্দা পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি এই অ্যাপ নির্ভর বিনিয়োগের ফাঁদে পড়ে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা খুইছেন। সন্দেহজনক অ্যাপটির নাম লোক্সাম। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তাঁর টাকা ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্কে জিনদাই টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। এরপর পুণে থেকে বীরেন্দর সিং নামে ওই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত জানায় সে জ্যাক নামে এক চিনা নাগরিকের কথামতো অ্যাকাউন্টটি খুলেছিল। তাকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা কমিশন দেওয়ার কথা জানিয়েছিল জ্যাক। এই ঘটনায় ব্যাঙ্কের ভূমিকারও সমালোচনা করেছে পুলিশ। এই কোটি কোটি টাকা প্রতারণার ঘটনায় তারা ইডিকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছে চিঠি লিখেছে।