মহানগর ডেস্ক: রাত পোহালেই বিশ্বকাপ ফুটবলের বোধন (World Cup Football 2020)। সারা পৃথিবীই মুখিয়ে আছে ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধের দিকে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইটালি, পর্তুগাল থেকে লড়াইয়ে সামিল বহু দেশ। কার হাতে উঠবে বিশ্বকাপ, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। চলছে জল্পনা। নজর থাকছে মেসি, নেমার, রোনাল্ডের দিকে। আগামী বাইশ তারিখে সৌদি আরবের মুখোমুখি হচ্ছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা (Argentina)। ১৯৭৮,১৯৮৬ সালে দুবারের বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টিনা ছত্রিশটি ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে নামছে বিশ্বকাপে। গত বছর কোপা আমেরিকা (Copa America) কাপে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে। এবারের বিশ্বকাপে তারা কী করতে পারে, তা নিয়ে জল্পনায় মশগুল ভক্তরা। যদিও মেসিকে দলের সঙ্গে দেখতে না পাওয়ায় বেড়েছে জল্পনা। তিনি ঠিক কোথায়, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর মাথা ঘামানো।
এবারে অবশ্য চমক দিয়েছে মেসির দল। তারা পাঁচতারা হোটেলে না থেকে ছাত্রদের ডর্মিটরিতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাতারে পাঁচ তারা হোটেলে থাকার প্রস্তাব তারা খারিজ করে দিয়েছে। এদিকে মেসিদের আপ্যায়নে ছাত্রদের ডর্মিটরিতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। হলের মাঝখানে একটি বারবিকিউ স্টেশনও করা হয়েছে। কিন্তু পাঁচতারা হোটেলের বিলাসিতা ছেড়ে, তারা কেন এই স্টুডেন্ট ডর্মিটরিতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়েও অনেক আর্জেন্টিনাপ্রেমীর মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দলের এক কর্তা জানিয়েছেন তাঁরা একাধিকবার চত্বরটি ঘুরে দেখেছেন। বেশ খোলামেলা। হাওয়া বাতাস খেলছে সেখানে। সেটা সাধারণভাবে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে মনে হবে তাঁরা বাড়ির পরিবেশেই আছেন। সবমিলিয়ে পাঁচ তারা হোটেলের স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে মেসির টিম এই স্টুডেন্ট ডর্মিটরিতে ডেরা বেঁধেছেন। এখন প্রত্যাশা এবারের বিশ্বকাপে শেষ বিশ্বকাপে ট্রফি হাতে শেষ হাসিটা হাসতে পারেন কিনা লিওলেন মেসি।