মহানগর ডেস্ক: রেললাইনের একধারে পড়ে আছে দাঁড়িপাল্লা। ট্র্যাকের মাঝখানে শুয়ে পড়ে কাতরাচ্ছিল আঠেরো বছরের যুবকটি (Young Vendor Lost His Legs)। তার দুটো কাটা পা একধারে পড়ে আছে। চিৎকার করে সে আশপাশের লোকজনদের কাছে সাহায্য চাইছে। এই মর্মান্তিক দৃশ্যটি যোগী রাজ্যের কানপুরের (Kanpur)। যে ঘটনায় শিউরে উঠেছেন সবাই। পুলিশের নির্মমতায় (Inhuman Behave Of Police) অনেকেরই মুখের ভাষা হারিয়ে গিয়েছে। জিটি রোডের ধারে সবজি বিক্রি করছিল আঠেরো বছরের আরশালান। পুলিশ এসে জবরদখল করা সবজি বিক্রেতাদের হটাচ্ছিল। অন্যদের পাশাপাশি আরশালানের চড়াও হয় পুলিশ। তাকে মারধর করে। তারপর তার দাঁড়িপাল্লা নিয়ে সেটা রেললাইনে ছুড়ে ফেলে দেয় এক কনস্টেবল।
যুবক সবজি বিক্রেতা দৌড়ে গিয়ে রেল লাইনে ছুড়ে ফেলা দাঁড়িপাল্লা নিয়ে আসতে গিয়ে ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। দাঁড়িপাল্লা বাঁচাতে গিয়ে সে খেয়াল করেনি যে উল্টোদিক থেকে ট্রেন আসছে। কিছু বোঝার আগে চলন্ত ট্রেনের চাকা পিষে দেয় তার পা। দুটি পা কাটা পড়ে। ভিডিওয় দেখা যায় আরশালান রেলট্র্যাকের মধ্যে পড়ে আছে। সে চিৎকার করে সাহায্য চাইছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন কানপুরের সাহিবনগরের কল্যাণপুরের বাসিন্দা আরশালান রোজকার মতো এদিনও সবজি বিক্রি করছিল। শুধু সে নয়, আরও অনেকে জিটি রোডের ধারে বেআইনিভাবে দখল করা জমিতে সবজি বিক্রি করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সবজি বিক্রি করার সময় সেখানে হানা দেয় পুলিশ। তাকে মারধরের পর কনস্টেবল রাকেশ তার দাঁড়িপাল্লা নিয়ে সোজা ছুড়ে দেয় রেললাইনে।
আরশালান দৌড়ে গিয়ে দাঁড়িপাল্লা নিতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের চাকার নীচে চলে যায়। তার দুটি পা চলন্ত চাকার নীচে কাটা পড়ে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা আরশালানকে রেললাইন থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় দুজন পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে জিটি রোডের কাছে অবৈধভাবে দখল করা জায়গায় সবজি বিক্রি করছিল আরশালান। সেসময় দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কনস্টেবল রাকেশ তার দাঁড়িপাল্লা রেললাইনে ছুড়ে ফেলে দেয়। ঘটনার পর ওই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়। ঘটনার তদন্ত করছে। ওই ঘটনার ভিডিও সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কানপুরের সিনিয়র পুলিশ অফিসার বিজয় ধুল।