মহানগর ডেস্ক: তিন দিনের বর্ধমান সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকাল তিনি বর্ধমানের গোদায় সভা করেছেন। আজ আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও তাঁর স্ত্রী। আর সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কিভাবে আসানসোলের মাটিতে জিতলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আসানসোল প্রধানত বিজেপির ঘাঁটি। সেখানে কোনও দিনও জেতে নি তৃণমূল। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপর সেখানে ফের একবার লোকসভা উপনির্বাচন হয়। আর তাতেই জিতে যান তৃণমূলের প্রার্থীর শত্রুঘ্ন সিনহা।
এদিনের সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘যে মানুষটি জেতার পরেও আসানসোলে বারবার ছুটে এসেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও তার স্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাবুল সুপ্রিয় একসময় আসানসোলের সংসদ ছিলেন। বিজেপিকে তার পছন্দ হয়নি। তিনি এখন আমাদের বিধায়ক। আপনারা আসানসোলে আমাদের শুধু জেতাননি। বিজেপিকে খামোশ করে দিয়েছেন। এত ভোটে জিতিয়েছেন আমাদের, এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। আমার আসানসোলে আসার প্রধান কারণ মানুষকে বুক ভরা ভালোবাসা জানানো’।
আরও পড়ুন, বাবা নয়, গান লিখেছে অন্য লোক! মানতে পারলেন না মেয়ে, উগরে দিলেন ক্ষোভ
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এদিনের সভায় থেকে শত্রুঘ্ন সিনহা জানিয়েছেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যালুট জানাতে এসেছি। উনি আমাকে পাঠিয়েছেন আসানসোলে। যে ইতিহাস রচনা হয়েছে তারপর আমি তা কখন ভুলতে পারবো না। আমি আজ শুধু ধন্যবাদ জানাতে এসেছি। দেশের বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে হবে’।
বর্ধমানের সভার পর আসানসোলের সভা থেকে ফের একবার বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানান, ভোট আসলেই বিজেপি চাকরি দেওয়ার কথা বলে। আর ভোট চলে গেলে, মুখ লুকায়। সামনে আসছে ২০২৪ , অর্থাৎ লোকসভার নির্বাচন, তাই চাকরির ললিপপ দেখাচ্ছে বিজেপি।