মহানগর ডেস্কঃ তামিলনাড়ুতে ফের অসমের হাতি অত্যাচারের অভিযোগ। অভিযোগ জানানো হয়েছে People for the Ethical Treatment of Animals – India নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, তামিলনাড়ুর একটি মন্দিরে জনসংযোগের স্টান্ট হিসেবে হাতিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে।
তামিলনাড়ুতে এমন অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও ওই রাজ্যের একটি মন্দিরে জয়মালা নামের অসমের এক হাতিকে বেঁধে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি উঠেছে হাতিটিকে মারধর করার অভিযোগও। সেই সময়ে হাতিটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল অসমের বন বিভাগের তরফে। তারপরেও হাতিটিকে আর জঙ্গলে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করে বন্যপ্রানী সংগঠন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়।
ওদিকে আবার তামিলনাড়ুর তরফে জানানো হয়েছে হাতিটিকে ফেরত দেওয়া হবে না কোনওভাবেই। একইসঙ্গে তাদের দাবি, হাতির উপর কোনও অত্যাচারই করা হয়নি। তবে গুয়াহাটির আদালতের নির্দেশে একটি বনবিভাগের দল সেখানে পৌঁছয়। সেখানে হাতিটির শরীর পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশও দিয়েছিল আদালত।
এর আগে পেটার তরফে একটি ভিডিও করে দাবি করা হয়, অনেকদিন ধরেই জয়মালাকে আটকে রাখার ফলে তার পায়ে ক্ষত হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একাধিক মাহুত মারধর করে জয়মালাকে। তীব্র যন্ত্রণায় হাতিটিকে ছটফট করতেও দেখা যায়। ওইসব ঘটনায় বন্যপ্রাণ আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পেটার সদস্যরা। তাই তাকে মুক্তি দেওয়ার আবেদনও করা হয়। এই পরিস্থিতিতে হাতিটিকে ফেরত চেয়েছে অসম। গোটা বিষয়ে গুয়াহাটি হাইকোর্টের হস্তক্ষেপও চেয়েছে অসম সরকার।