মহানগর ডেস্ক: মোরবী সেতু বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে আজ বিধানসভার প্রথম দফা ভোট হতে চলেছে গুজরাতে (Assembly Election In Gujarat)। এদিন সকাল আটটা থেকে কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রের উনিশটি জেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে (19 Districts)। এবারের ভোট ১৯৯৫ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা শাসক বিজেপির কাছে বড়রকমের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ ২০০২ সাল থেকে তাদের আসন সংখ্যা ২০০২ সালে ১৩৭টি থেকে ২০১৮ সালের ভোটে ৯৯-য় দাঁড়ানোয় এবারের ভোট তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার বিজেপির লক্ষ্য ১৪০টি আসন। সেই লক্ষ্যে ভোটের ময়দান চষে বেড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। যার মূল নিয়ন্ত্রণ ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে।
গেরুয়া শিবিরের হয়ে তিনি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করছেন এবারের ভোট। হাইপ্রোফাইল নেতাদের নিয়ে রীতিমতো হাই ভোল্টেজ প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে এবার গেরুয়া শিবিরের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আপের জাতীয় আহ্বায়ক ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গত মাস থেকে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন গুজরাতে। পঞ্জাব বিজয়ের পর গুজরাত ভোটে আপ ৯২টি আসন পাবে বলে দাবি করেছেন তিনি। সুরাতে আটটি আসন পাবে বলে জোর দাবি শোনা গিয়েছে কেজরিওয়ালের মুখে। দিল্লির মতো মডেল এখানে চালু করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। যদিও গত বিধানসভা ভোটে এই রাজ্যে খাতা খুলতে পারেনি তার দল। ভোটের লড়াইয়ে কংগ্রেসকে তারা আদৌ পাত্তা দিতে নারাজ।
তাদের দল বিজেপিকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছে। তবে তাঁর দাবি উড়িয়ে দিয়ে অমিত শাহ বলেছেন গুজরাতে আপের কোনও অস্তিত্ব নেই। রাজ্যবাসীর মনে তাদের জন্য কোনও জায়গা নেই। ভোটের ফলের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন রাজ্যবাসীকে। অন্যদিকে ২০১৮ সালে ৭৭টি আসন পাওয়া কংগ্রেস জানিয়েছে তারা নির্বাচন কমিশনকে ব্যালটবক্স গুলিকে হোমগার্ড বা রাজ্যপুলিশের নজরদারিতে না রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হেফাজতে রাখার অনুরোধ জানাবে। তারা ত্রিপুরা রাইফেলসকে বুথগুলি থেকে দেড় মাইল দূরে থাকার জন্যও কমিশনের কাছে দাবি জানানোর কথা বলেছেন ওই দলের নেতারা। তবে এবারের ভোটে রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট অনেকটাই ম্রিয়মান ছিল। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ঝটিতি প্রচার শুরু করলেও ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকায় তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে পাঁচ তারিখে। ভোটের ফল গণনা আট তারিখ।