মহানগর ডেস্ক: রথযাত্রার শুভক্ষণে ইসকনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan)। ভোগ নিবেদনের পাশাপাশি মঙ্গলারতি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কড়া নিরাপত্তা মন্দিরে।
জানা গিয়েছে, দু’বছর পর রথের দড়ি টেনে উৎসবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী দুপুর দু’টোর মধ্যে মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন সাংসদ নুসরাত জাহান। আজ রথ যাত্রার শুভক্ষণে বিদেশ থেকে ভক্তদের ভিড় জমেছে ইসকনে। এমনিতে প্রত্যেক বছরই রথযাত্রায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। কিন্তু বিগত বছরে এই উৎসব পালিত না হওয়ায়, এই বছর রথ মন্দির থেকে বেরিয়ে হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিট, এজিসি বোস রোড, শরৎ বোস, হাজরা, এস পি মুখার্জি রোড, চৌরঙ্গি এক্সাইড, জহরলাল নেহেরু রোড, আউট্রাম হয়ে ব্রিগেড যাবে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর কনভয় ট্রাকের ধাক্কা, ষড়যন্ত্র নাকি দুর্ঘটনা?
এরপর ৯ জুলাই পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রা। এই আটদিন ধরে ব্রিগেডে চলবে মেলা। উল্টো রথের দিন ফের রথ ফিরবে মন্দিরে। এদিন মন্দিরে পৌঁছে ব্যবস্থাপনা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সকাল থেকেই নাচে-গানে জাঁকজমকপূর্ণ কলকাতার ইসকনের রথযাত্রা। কত্থক, ওড়িশি ও গৌড়ীয় নৃত্যের সমারোহে জমজমাট ইসকন। প্রায় দেড়শোটি দেশের ভক্তরা অংশগ্রহণ করেছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে অস্ট্রেলিয়ান ভক্ত স্পষ্ট বাংলা ভাষায় জানিয়েছেন, জগন্নাথ দেবকে রথে দর্শন করে তিনি মুগ্ধ।
কথিত আছে, এদিন রথের রশি ছুঁলে ১০০ যজ্ঞের সমান পূণ্য লাভ হয়। এই যাত্রায় যারা অংশ নেন তাঁদের মোক্ষ্য লাভ হয় বলেও, বর্ণিত রয়েছে। সেইসঙ্গে বলা হয়, সাধারণ মানুষ যখন রথে জগন্নাথ দেবকে দেখেন তখন তাঁদের জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধি, এই আবর্তের মধ্যে পড়তে হয় না। গত দু’বছর করোনার কারণে গৃহবন্দী ছিল মানুষ। এবার অতিমারির ধাক্কা সামলে উৎসবের আনন্দে গা ভাসিয়েছে গোটা দেশ। সেই আনন্দে সামিল হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।