নাগরিক ওয়েবডেস্ক: কর্ণাটকে এই প্রথম এক বালিকার দেহে ধরা পড়ল জিকা ভাইরাস। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর এই খবর জানিয়েছেন। রাইচুর জেলায় এক পাঁচ বছরের বালিকার দেহে ওই জিকা ভাইরাস ধরা পড়েছে। মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন, এনিয়ে কোনও আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকার সমস্তরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। রোগ প্রতিরোধে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। জানান, সরকার পুণের ল্যাবের রিপোর্ট থেকে জিকা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। গত ডিসেম্বরে পরীক্ষাটি করা হয় এবং আট তারিখে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তিনটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। দুটি নেগেটিভ ও একটি পজিটিভ। সরকার তীক্ষ্ন নজর রাখছে। সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী জানান কয়েকমাস আগে কেরল,মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশে জিকা ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কর্ণাটকে এই প্রথম এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া নিয়ে পরীক্ষার সময় সিরামের ক্ষেত্রে এটি ধরা পড়ে। সাধারণত এই ধরণের দশ শতাংশ পুণে ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে বিষয়টি ধরা পড়ে।
Mani Sankar Debnath
বরাবরই বিতর্ক তাঁর সঙ্গে ছায়ার মতো ঘুরে বেরিয়েছে। কখনও তাঁর বলিউড স্টাইলে ঠাঁটবাট, লাল সালোয়ার কামিজ বা মিনি স্কার্ট পরে ভক্তদের দর্শন নিয়ে। কখনও আবার অশ্লীলতার অভিযোগে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। তবু সানি লিওনের পরম ভক্ত মুম্বইয়ের এই স্বঘোষিত মহিলা ধর্মীয় গুরু আজও দাপটে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর রঙিন সাম্রাজ্য।
কথামুখ
নাগরিক ওয়েবডেস্ক: আশ্রম চত্বরে ভক্তদের ভিড় শুরু হয়েছে অনেকক্ষণ। যাঁরা ভিড় জমিয়েছেন, তাঁরা প্রায় সকলেই স্বচ্ছল পরিবারের। অনেকেই ঝাঁ চকচকে গাড়ি হাঁকিয়ে এসেছেন। এখন শুধু অপেক্ষা। কখন মা দুর্গার ‘অবতার’ দেখা দেন। একটু চোখের দেখা, ত্রিশূলের ছোঁয়া পেলেই ধন্য হয়ে যাবে জীবন। ভক্তরা পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছেন দরজার দিকে। এই বুঝি তিনি সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসেন! কিন্তু তাঁর দেখা পাওয়া মুখের কথা নয়। তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষার পর তিনি ‘দর্শন’ দেবেন কাঁটায় কাঁটায় ঠিক দশ মিনিট। তারপরই আবার উঠে যাবেন তিন তলার একেবারে শেষ ঘরে। যেটা একেবারে অবতারের নিজের ঘর। সেখানে ঘনিষ্ঠ ছাড়া কারও ঢোকার ছাড়পত্র নেই। দিনের অধিকাংশ সময়ই তিনি এই ঘরেই থাকেন। সেখানে চলে তাঁর ‘আধ্যাত্মিক’ কাজকর্ম।
আরব সাগরের তীরে মুম্বইয়ের শহরতলি বোরিভেলি। শহরতলি হলেও শহরের তুলনায় কম ধোপদুরস্ত নয়। আর আশ্রমটিও রীতিমতো চোখ ধাঁধানো। তবে প্রায় সব জায়গাতেই টকটকে লাল রঙের ছড়াছড়ি। কারণ, মা দুর্গার অবতার লাল রং ভীষণ ভালোবাসেন। তাই আশ্রমের প্রতিটি তলার চারদিকে চোখে পড়ার মতো লালের উপস্থিতি। ভক্তরা এবার কিছুটা হলেও অধৈর্য হয়ে পড়েছেন। আর তখনই সিঁড়িতে গুঞ্জন শোনা গেল। ভক্তদের মধ্যে শোনা গেল ফিসফাস। না, সত্যিই তিনি আসছেন। সিঁড়ির ভিড় সরিয়ে যাঁকে দেখা গেল, তাঁকে দেখে কিন্তু অবাক হওয়ার কথাই। কারণ, মা দুর্গার অবতার লাল রঙের সালোয়ার কামিজ পরেছেন। চেহারাটিও বেশ আকর্ষণীয়। গায়ের রং ফরসা। মুখটাও রীতিমতো নজরকাড়া! কপালে লম্বাটে লাল টিপ। স্মিত হাসি ছড়িয়ে আছে সারা মুখে। দু হাতে অজস্র গয়না। ডান হাতে ধরা ছোট্ট একটা ত্রিশূল। সেটা উঁচিয়েই তিনি ভক্তদের বরাভয় দিয়ে থাকেন। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকও যেন দেখা যাচ্ছে। গলায় দুলছে অনেকগুলো সোনার হার। চত্বরে আসার আগেই হরি ওম হরিওম ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এবার দু হাত ওপরে তুলে তিনি সোজা চলে এলেন ভক্তদের মধ্যে। ভক্তরাও তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচ শুরু করলেন। কিন্তু একী! মা দুর্গার অবতার হঠাৎ করে লাফ দিয়ে এক পুরুষ ভক্তের কোলে উঠে পড়লেন। সেইসঙ্গে চলতে লাগল নাচের সঙ্গে শরীরী বিভঙ্গের লীলা। নাচের তালে তালে নিজের শরীরের টাল সামলাতে গিয়ে ওই পুরুষ ভক্তের ওপর গিয়ে পড়লেন তিনি। তারপর একসময় লাফ দিয়েই নেমে পড়লেন কোল থেকে।
মা দুর্গার ‘অবতার’
রজনীশ থেকে আসারাম বাপু, স্বামী নিত্যানন্দ এবং অবশ্যই ডেরা সৌচা সাদা রাম-রহিম বাবা। বিতর্ক, কেলেঙ্কারি আর ব্যাভিচারে লিপ্ত থাকার থাকার পাশাপাশি বিপুল টাকা, বিলাস ঐশ্বর্যে এঁদের কেউ কম যান না। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন রাম রহিম বাবা। গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর লক্ষ লক্ষ ভক্তের হিংসাত্মক উন্মত্ততা কত দূর যেতে পারে, সেটা গোটা দেশ দেখেছে। আপাতত জেলে রয়েছেন রাম রহিম বাবা। শিষ্যা ধর্ষণে অভিযুক্ত আসারাম বাপুও জেলে। যৌনশোষণের অভিযোগে কাঠগড়ায় উঠেছেন স্বামী নিত্যানন্দ। তবে এতসবের পরেও তথাকথিত ধর্মীয় গুরু নিয়ে মাতামাতি এতটুকু থেমেছে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে রাধে মায়ের মতো ধর্মীয় গুরু। একের পর এক বিতর্ক, অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত মুম্বইয়ের এই ধর্মীয় গুরুকে নিয়ে ভক্তদের মধ্যে এখনও মাতামাতির শেষ নেই।
মুম্বই কেন, গত কয়েক বছরে নানা মুখোরোচক কীর্তির দৌলতে আসমুদ্র হিমাচলের মানুষ চিনে গিয়েছেন এই মা দুর্গার ‘অবতার’কে। তাঁর লক্ষ লক্ষ ভক্ত বিশ্বাস করেন তাঁদের গুরু-মা সাক্ষাৎ দেবী দুর্গার অবতার। ঘোর কলিতে তাঁর আবির্ভাব হয়েছে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করতে। হোক না তিনি সালোয়ার কামিজ বা মিনিস্কার্ট পরা লাস্যময়ী নারী। দুর্গার তো কত রকম রূপই না রয়েছে। এটাও তাঁর এক রূপ। তাঁর ঐশ্বরিক ক্ষমতার ওপর অগাধ বিশ্বাস লাস্যময়ী অবতারের ভক্তকুলের। তাঁরা মনে করেন, দুষ্টের দমনে দেবী দুর্গার এই অবতার মর্ত্যে এসেছেন রাধে মা নাম নিয়ে। তবে অনেকেই তাঁকে ভুল বোঝেন। বিশেষ করে তাঁর চালচলন নাকি অবতার সুলভ নয়। এদেশের গড়পড়তা সাধিকা বা আধ্যাত্মিক গুরু মায়েদের সঙ্গে তাঁর আকাশ পাতাল ফারাক। তিনি গেরুয়া বা সাদা শাড়ি পরে থাকেন না। সবসময়ই লাল রঙের সালোয়ার কামিজ বা মিনি স্কার্ট পরেন। তাই অনেকেই তাঁকে এড়িয়ে চলেন। কারও কারও অভিযোগ, পুরুষ ভক্তদের সঙ্গে আশীর্বাদ দেওয়ার সময় অযথা মাখামাখি করেন, যা সবার কাছে দৃষ্টিকটু দেখায়। ভক্তদের তাঁর গালে চুমু দেওয়ার অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রবল বিতর্ক দেখা দেয়।
বিতর্ক তাঁর সঙ্গে যেন ছায়ার মতো ঘুরে বেড়ায়। খোলামেলা পোশাক আশাক, চালচলন থেকে বলিউড স্টাইলের ঠাঁটবাট। হুমকি, যৌন হেনস্তার অভিযোগের পাশাপাশি গুজরাতের কচ্ছ এলাকার একটি পরিবারের সদস্যদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা। অভিযোগের তালিকাটা বিরাট। অভিযোগের জেরে হাজতবাসও করতে হয়েছে তাঁকে। যদিও সব ঝামেলা মিটিয়ে ফের স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন মা দুর্গার ‘অবতার’। বছর তিনেক আগের ঘটনাও কম চাঞ্চল্যকর নয়। সেবার কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে গটগট করে ঢুকে পড়েছিলেন নয়া দিল্লি থানায়। থানায় ঢুকে স্টেশন অফিসারকে সরিয়ে তাঁর চেয়ারে বসে পড়েছিলেন তিনি। ছবিতে দেখা গিয়েছিল, স্টেশন অফিসার তাঁর সামনে করজোড়ে কাঁচুমাচু মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। আর চেয়ারে বসে স্মিত হাসি হেসে বরাভয় দিচ্ছেন লাল সালোয়ার কামিজ পরা লাস্যময়ী রাধে মা। এরপরই সেই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়।
বিতর্ক এখানেই থেমে নেই। বছর দুয়েক আগে তাঁর মিনিস্কার্ট পরা লাস্যময়ী ছবি সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করেন প্রয়াত কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রমোদ মহাজনের ছেলে রাহুল মহাজন। তাতে লেখেন- গেস হু। ছবিগুলি নিয়ে তীব্র হইচই দেখা দেয়। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় রাহুলের ওই পোস্টটি।
গরিব দর্জি থেকে ঐশ্বরিক উত্থান
পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার ডোরানগালা গ্রাম। এই গ্রামেরই এক সরকারি অফিসারের ঘরে জন্ম হয়েছিল একটি ফুটফুটে শিশুর। একটু বড় হলে তার নাম রাখা হয় সুখবিন্দর। ছোট থেকেই সে বই টই না পড়ে মন্দিরে গিয়ে থাকতো। পড়াশোনাও বেশিদূর করার আগেই ছেড়ে দিল স্কুল। তখনও সে প্রাথমিক বিভাগ উতরোয়নি। অনুগামীরা বলেন, ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে আধ্যাত্মিকতার ভাব দেখা গিয়েছিল। তাঁদের কথায়, রাধে মায়ের হাতের স্পর্শেই শারীরিক,মানসিক অসুখ ভালো হয়ে যায়।
তার বয়েস যখন ১৭, তখন বিয়ে হয়ে যায় মোহন সিং নামে এক মিষ্টির দোকানের মালিকের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের পর অভাব মেটাতে সুখবিন্দরকে সেলাইফোঁড়াইয়ের কাজ করতে হতো। ততদিনে দু-দুটো সন্তানের জন্মও দিয়ে ফেলেছে হোশিয়ারপুরের গৃহবধূটি। এরই মধ্যে ১০০৮ পরমহংস বাঘ ডেরা মুকেরিয়ার ধর্মগুরু মহন্ত রাম দীনের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
এরপরই একেবারে অন্যদিকে মোড় নেয় সুখবিন্দরের। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর হোশিয়ারপুরের গৃহবধূ হোশিয়ারপুর ছেড়ে পাড়ি জমান মুম্বইয়ে। সেখানে তাঁর শিষ্য হন ব্যবসায়ী মনমোহন গুপ্তা এবং এমএম মিঠাইওয়ালা। তারপর সেখানেই পাকাপাকিভাবে বাস করা শুরু করেন তিনি। তখন থেকেই তিনি রাধে মা। বোরোভেলির ওই বাড়িটিতেই তৈরি করেন রাধে মা আশ্রম। বলিউড স্টাইলে ঠাঁটবাট থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নানা ধরনের কীর্তি তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। দ্রুত হয়ে ওঠেন মিডিয়া সেনসেশান। আর এখন সেখানে সকাল থেকেই ভিড়। সেখানে সাধারণ ভক্তদের পাশাপাশি মাঝেমাঝেই দেখা মেলে ভিভিআইপিদেরও।
অলৌকিক ক্ষমতা ?
আপ টু ডেট বিতর্কিত ধর্মীয় গুরুর ওয়েবসাইটও রয়েছে। সেই ওয়েবসাইট কী লিখছে, সেটা একবার দেখে নেওয়া যাক। তাতে লেখা হয়েছে তাঁর স্বামী চাকরির খোঁজে ভারত ছেডে় যাওয়ার পর তিনি পার্থিব জীবনের মোহ কাটিয়ে ফেলেন। তারপর পরমহংস দেরার সঙ্গে আরও ভালোভাবে জড়িয়ে পড়েন। সেখানকার ধর্মীয় বিষয়টি ভালোভাবে আত্মস্থ করতে নানা জায়গা ঘুরে বেড়ান। বছর কয়েক পরে মুম্বইয়ে ডেরা বাঁধার পরেই অল্পস্বল্প ভক্ত জুটতে শুরু করে। তারপর সেই ভক্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে লক্ষে লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে।
রাধে মায়ের অলৌকিক ক্ষমতার ঘটনাও ওয়েবসাইটে তাঁর এক ভক্ত বর্ণনা করেছেন। যদিও নিজের মুখে কখনও নাকি দাবি করেননি তিনি। এক ভক্ত লিখেছেন কীভাবে রাধে মায়ের হাতের ছোঁয়ায় উধাও হয়ে গিয়েছিল তাঁর বুকের ব্যথা। তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামী হলেন ছোটে মা এবং তাল্লি বাবা। এই স্বর্গীয় ক্ষমতা তিনি নাকি পেয়েছিলেন ছোটে মা-র কাছ থেকে। ভক্তদের দাবি, কোনও কোনও সময় তাঁদের উপদেশ দেওয়ার সময় তাঁর গলা ছোটে মায়ের গলার স্বরে পাল্টে যায়।
যদিও তাঁকে নিয়ে বিতর্ক, অভিযোগ যেমন আছে, তেমনই সামাজিক কাজকর্মেও জড়িত রয়েছেন তিনি। জীবসেবা ইনিশিয়েটিভ গড়ে তাঁর মাধ্যমে রক্তদান, গরিব মেধাবী পড়ুয়াদের বিনামূল্যে বই দেওয়া থেকে শুরু করে কাপড়, খাবার, ওষুধ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিতর্কিত এই ধর্মগুরু । ২০১৮ সালে অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরের জন্য ২০ লক্ষ টাকার বাসনপত্রও দান করেছেন রাধে মা।
বিতর্ক আর কেলেঙ্কারির ঘেরাটোপে
২০১৫ সালের আগস্ট মাসে বোরোভেলির গুপ্তা পরিবারের গৃহবধূ থানায় অভিযোগ করেছিলেন আরও পণের জন্য রাধে মা তাঁর শ্বশুরকে প্ররোচিত করেছেন। সেইসঙ্গে আশ্রমে জোরজবরদস্তি কাজ করতে বাধ্য করে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছেন। ওই মাসের ৬ তারিখে মুম্বই পুলিশ তাঁকে ফেরার ঘোষণা করে এবং লুক আউট নোটিশ জারি করে। এরপর গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পাশাপাশি ডলি বিন্দ্রা নামে এক অভিনেত্রী রাধে মায়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন। তা নিয়েও কম সমস্যায় পড়েননি এই মহিলা ধর্মীয় গুরু। অন্যদিকে, গুজরাতের কচ্ছের এক পরিবারের অভিযোগ ছিল মারাত্মক। তাদের অভিযোগ ছিল সুসময় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন রাধে মা। কিন্তু তাদের সুদিন ফেরেনি। শেষমেশ আত্মহত্যা করে পরিবারের বেশ কিছু সদস্য। তবে সে যাত্রা বেঁচে যান তিনি।
সানি লিওনের ভক্ত!
গোটা দেশ জুড়ে তাঁর ভক্তের সংখ্যা অসংখ্য। ফেসবুকে ফ্যান ফলোয়িং কয়েক লক্ষ। বোরিভেলির এই আশ্রমে বলিউডের অনেক সেলিব্রিটিই এসেছেন। এখনও আসেন। তাঁর ভক্তদের তালিকায় রয়েছেন বলিউডের অনেক অতীত দিনের তারকাও। এসেছেন রাধে মা যাঁর পরম ভক্ত, সেই মার্কিন পর্নস্টার সানি লিওনও। বলিউডের গায়ক সোনু নিগম রাধে মাকে নাগা সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে তুলনা টেনে তাঁকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর আশীর্বাদ নিতে গিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক সুভাষ ঘাই। তবে বিতর্ক, কেলেঙ্কারি যাই থাক, পঞ্চাশ পেরিয়েও এখনও লক্ষ লক্ষ ভক্তদের নয়নের হয়ে রয়েছেন আগাগোড়া রঙিন এই মহিলা ধর্মীয় গুরু।
নৃশংস প্রতিশোধ, কনট্রাক্ট কিলার ভাড়া করে নিজের ছেলেকে খুন করালেন বাবা!
নাগরিক ওয়েব ডেস্ক: নিজের ছেলেকে খুন করানোর জন্য ছ জন ভাড়াটে খুনিকে ভাড়া করলেন বাবা! এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবা-সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হুবিলিতে। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, অখিল নামে পেশায় গয়না ব্যবসায়ী গত এক তারিখে খুন হন। তাঁর কাকা নিখোঁজের ডায়রি করেন। যে ডায়রিটি ছিল বিভ্রান্তিমূলক। খারাপ কিছুর গন্ধ পেয়ে পরিবারের সদস্যদের জেরা করা শুরু করে পুলিশ। জেরায় অখিলের বাবা স্বীকার করে তিনি ছেলেকে খুন করার জন্য ছ জন ভাড়াটে খুনিকে ভাড়া করে তাঁর ছেলেকে খুন করেন। ব্যক্তিগত কারণে এই খুন বলে জানালেও বিশদ কিছু জানাতে চায়নি পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে তারা।
মূল অভিযুক্ত মৃত অখিলের বাবা ভরত মহাজানসেট সুপারি কিলারদের হাতে নিজের ছেলেকে তুলে দিয়ে একাই বাড়ি ফিরে আসেন। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন সমস্ত দিক তদন্ত করা হচ্ছে। খুনের পেছনে আরও কয়েকজনের হাত থাকার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। খুন করার দিনই অখিলের দেহ দেবিকোপ্পায় কালাঘাটরির কাছে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। বুধবার ছাব্বিশ বছরের অখিলের দেহ সমস্ত নিয়ম মেনে রেভেনিউ দফতরের অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার অশোক তেলির উপস্থিতি মাটি খুঁড়ে তোলা হয়। কর্ণাটক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলেই মৃতদেহর ময়না তদন্ত করে। রিজিওনাল ফরেনসিক ল্যাব খুনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করে। অটোপ্সির পর দেহ অখিলের পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। মূল অভিযুক্ত অখিলের বাবা ছাড়া বাকি ছজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ভাড়াটে খুনিরা প্রত্যেকেই হুবলির বাসিন্দা। খুনের ঘটনা স্বীকার করার পর তিনজনকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের বৃহস্পতিবার সকালে গুন্টুর থেকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
Five Million Data Stolen : ছ লক্ষ ভারতীয়র ফেসবুক, গুগল তথ্য চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ!
মহানগর ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে পাঁচ মিলিয়ন মানুষের তথ্য চুরি করে (Five Million Data Stolen) বিক্রি করা হয়েছে বট মার্কেটে। এর মধ্যে ছ লক্ষ ভারতীয় রয়েছেন। এই ঘটনায় সব থেকে প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতীয়দের ওপর বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বট মার্কেট (BOT Market) ম্যালওয়ারে হ্যাকাররা চুরি করা তথ্য বিক্রি করে থাকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি জানিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ভিপিএন সার্ভিস প্রোভাইডার নর্ড ভিপিএন। লিথুনিয়ায় নর্ড সিকিউরিটি তাদের সমীক্ষায় জানিয়েছে ইউজার লগ ইন,কুকিস, ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট, স্ত্রিন শট ও অন্যান্য তথ্য গড়পড়তা ভারতীয় মুদ্রায় চারশো নব্বই টাকায় বিক্রি করছে হ্যাকাররা। গত চার বছর ধরে নর্ড ভিপিএন চুরির বিষয়টির ওপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। বট মার্কেট ২০১৮ সালে তৈরি হয়। এই কবছরের মধ্যে তারা তথ্য কেনাবেচা শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ভারত।
গত মাসে সরকারি হাসপাতাল এইসের একাধিক সার্ভার আক্রান্ত হয়। হাসপাতালের সার্ভারে মন্ত্রী,রাজনীতিবিদ-সহ সাধারণ মানুষের তথ্য রয়েছে। এর এক সপ্তাহ পর এআইআইএমএসের সার্ভারে হামলা চালানোর চেষ্টা করে হ্যাকাররা। একমাত্র এ বছরের শুরুতে ভারতের সাইবার নিরাপত্তাকে আঁটোসাঁটো করা হয়। ইন্ডিয়ান কমপিউটর এমার্জেন্সি রেসপন্স টিমকে নিয়ে তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি জোরদার করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। কোনও রকম তথ্য চুরি নিয়ে কিছু দেখতে পেলে ছ ঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ে রিপোর্ট করে এই টিম। তথ্য ও যোগাযোগ সংক্রান্ত লগ ছ মাসের জন্যে নজরদারি চালায়। নর্ডভিপিএনের সমীক্ষায় তিন বড় বট মার্কেটের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল জেনেসিস মার্কেট, দ্য রাশিয়ান মার্কেট ও টু ইজি। ওই তিনটি মার্কেটে নজরদারি চালিয়ে চুরি যাওয়া লগইনের সন্ধান পেয়েছে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে গুগল,মাইক্রোসফট ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
Transgender Candidate : দিল্লির মিউসিপালিটির ভোটে দাঁড়িয়ে জিতলেন প্রথম যৌন রূপান্তরকামী প্রার্থী
মহানগর ডেস্ক: দিল্লি মিউনিসিপাল ভোটে তিনি কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়েছেন ছ হাজারেরও বেশি ভোটে। এই প্রথম রূপান্তরকামী প্রার্থী হিসেবে দিল্লির মিউনিসিপাল ভোটে জিতেছেন ববি কিন্নর (Transgender Candidate)। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন আপের (APP) প্রার্থী হিসেবে। সুলতানপুরী ৪৩ এ ওয়ার্ডে জেতার পর ববি জানান, তিনি এই জয়কে ভোটে তাঁর হয়ে লড়াই করেছেন, তাঁদের উৎসর্গ করছেন। তিনি প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চান। তাঁর এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করার কথা ডানান নবনির্বাচিত কাউন্সিলর। সুলতানপুরী এলাকায় ববি পরিচিত মুখ।
২০১৭ সালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছিলেন। আন্না হাজারের আন্দোলনের সময় আপের সঙ্গে যুক্ত হন। এর আগে সংবাদমাধ্যমকে ববি জানিয়েছিলেন লিঙ্গ পরিচয়ের জন্য তিনি কীভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। তিনি যখন কিশোরী ছিলেন তখন তাঁকে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাঁকে নিয়েছিলেন। তারপর বিয়েবাড়িতে নর্তকী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। সেখানেই সামাজিক কাজকর্মে নিজেকে যুক্ত করেন এবং রাজনীতিতে যোগ দেন। গত পনেরো বছর ধরে আপের এই কাউন্সিলর হিন্দু যুব সমাজ একতা আওয়াম অ্যান্টি টেরোরিজম কমিটির দিল্লি শাখার সভানেত্রী রয়েছে ববি। এর আগে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন তিনি তৃতীয় লিঙ্গ সমাজের একজন হয়ে রাজনীতিতে আসতে চান। এখন তাঁর সমাজের মানুষজন রাজনীতি থেকে দূরে থাকতো। তাঁর সমাজে অনেক শিক্ষিত মানুষ রয়েছেন। তিনি চান ওইসমস্ত মানুষ রাজনীতিতে আসুক। তাঁরা রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সমাজসেবা করে তাঁদের নামের শ্রীবৃদ্ধি করুক।
Karnataka BJP CM : কর্ণাটকে ধুলোয় মিশে যাবে কংগ্রেস, বিজেপির জন সংকল্প যাত্রার সূচনা করে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
মহানগর ডেস্ক: কর্ণাটকে কংগ্রেস ( Congress Will be Perished To Dust) পুরোপুরি ধুলোয় মিশে যাবে। বুধবার জনসঙ্কল্প যাত্রার সূচনা করে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোন্নাই (Karnataka BJP CM)। জানান, কর্ণাটকে বেশ সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস কিন্তু তারা মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া কিছুই করেনি। ক্ষমতায় থেকে কংগ্রেস শাসকরা রাজ্যের মানুষকে ক্রমাগত ভুলপথে চালিত করেছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বোম্মাই জানান, বিকল্প শক্তি হিসেবে বিজেপি উঠে আসা না পর্যন্ত কংগ্রেস সারা দেশে নিজেদের জায়গা হারিয়েছে। জাত ভিত্তিক, ধর্মীয় বিভাজন, উপ-জাতি তৈরি করে তারা ভোট আদায় করেছে। দলিত, অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘুদের নিয়ে তাদের বড় বড় দাবি করে গিয়েছে।
তাঁর কথায়, কংগ্রেস নেতারা গরিবদের তুলে ধরার কথা শুধু বক্তৃতায় বলে থাকেন। এমন করে বলেন যাতে মনে হয় তাঁরা ছাড়া তাদের জন্য আর কেউ নেই। কিন্তু অনগ্রসররা অনগ্রসরই রয়ে গিয়েছে। এখন তারা জেগে উঠেছে। তারা প্রশ্ন করতে শুরু করেছে কংগ্রেস তাদের জন্য কী করেছে,তা নিয়ে। তারা যে টাকা খরচ করেছে, তাতে ওই সম্প্রদায়ের মানুষদের অনেক ওপরে ওঠার কথা। কিন্তু তারা আর্থিক, সামাজিক ও শিক্ষায় এগোতে পারেনি। সিদ্ধারামাইয়া সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন কোভিড অতিমারি ছিল না। কিন্তু রাজ্যের কোনও উন্নয়ন হয়নি।
বোম্মাই বলেন, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল এবং কর্ণাটকের মানুষের ঘাড়ে দু লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। এত টাকা ঋণ নেওয়ায় রাজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হওয়া উচিত ছিল। বিজেপির পাঁচ বছরের শাসনে বত্রিশ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সাত লক্ষ হেক্টর জমিতে খরচ করা হয়েছে। আর কংগ্রেস মাত্র দু লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের জন্য চুয়ান্ন হাজার কোটি টাকা খরচ করেছিল। ওই টাকাগুলো কোথায় গেল, কার পকেটে ঢুকল, বোম্মাই প্রশ্ন করেন। কংগ্রেসকে দুর্নীতির গঙ্গোত্রী আখ্যা দিয়ে কর্ণাটকের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী জানান, কংগ্রেস আমলে দুর্নীতি তদন্ত করার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে লোকায়ুক্ত বিভাগ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে পঞ্চাশটি মামলা বকেয়া ছিল।
•
Gujarat Result : গুজরাতে ফের চালকের আসনে কি বিজেপি, ফল কয়েক ঘণ্টা পরেই…
মহানগর ডেস্ক: গুজরাতে (Gujarat Result) ফের ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি (BJP) নাকি অন্য কোনও চমক থাকবে ভোটের ফলে। ভোট প্রচারে হুঙ্কার তোলা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ (APP) কি পঞ্জাবের মতো সে রাজ্যে উল্টে দিতে পারে পাশার দান- আর কয়েক ঘণ্টা পরেই চূড়ান্ত ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠবে মোদী-শাহের রাজ্যে। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে গুজরাতের ভোটের ফল গণনা। আর এই ফলের দিকে মুখিয়ে আছে সারা দেশ। পয়লা ডিসেম্বর প্রথম দফার ভোটে ভোট দিয়েছেন ৬০.৮ শতাংশ। পাঁচ তারিখে দ্বিতীয় দফার ভোটে ভোটদানের হার ৫৮.৭ শতাংশ। ভোটের হার কমের জন্য শহুরে ভোটারদের অনীহার দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। প্রথম দফায় সৌরাষ্ট্র-কচ্ছের ১৯টি জেলায় ৮৯টি আসনে ভোট হয়েছে। পরের দফায় ভোট হয়েছে ১৪টি মধ্য ও উত্তর অংশের জেলায়।
এগজিট পোলে যদিও বিজেপিকে চালকের আসনে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে এ রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এবারের লড়াইয়ে শুধু কংগ্রেস নয়। কেজরিওয়ালের আপও লড়াইয়ে সামিল। তারা পঞ্জাবের মতো গুজরাত দখলেরও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টা পরে আসল ছবিটা প্রকাশ্যে এলেই জানা যাবে গুজরাতের কুর্সিতে কারা আসছে। বিজেপি না চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া আপ। ভোটের আগে গোটা রাজ্যে চষে বেরিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই। ডিসেম্বরের এক তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মেগা রোড শো সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। তুলনায় এবারে ভোট প্রচারে ম্রিয়মান কংগ্রেসকে অনেকেই লড়াইয়ে আপের পর জায়গা দিয়েছে। তবে এগজিট পোলে তাদের দুনম্বর জায়গা দিয়েছে। সেখানে গেরুয়া ঝড়ে আপের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
Woman Walking With Lions : তিন পরাক্রমশালী সিংহকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটে চলেছেন মহিলা, এই ভিডিও দেখলে হাত পা ঠান্ডা হবেই!
মহানগর ডেস্ক: দৃশ্যটা দেখলে যে কারোরই রক্ত ঠান্ডা হয়ে যেতে বাধ্য। ভিডিওটি দেখলে এরকমই হতে পারে সবার। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে তিন পরাক্রমশালী পুরুষ সিংহর সঙ্গে খুব অনায়াসেই হাঁটছেন এক মহিলা (Woman Walking With Lions)। মহিলাকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। যে সিংহকে দূর থেকে দেখলে অতি বড় সাহসীর ভয়ে, আতঙ্কে বুক শুকিয়ে যায়, সেই সিংহদের নিয়ে কীরকম শান্তভাবে হেঁটে চলেছেন তিনি, যেন কোনও ব্যাপারই নয়। তিনজন যেন তাঁর পোষা। মানুষ বা জন্তুর প্রাণ নিতে যাদের একটা থাবার আঘাত যথেষ্ট, সেই ভয়ঙ্কর সিংহ, একটা নয়, দুটো নয়, তিন তিনটি সিংহ নিয়ে হেঁটে চলেছেন তিনি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি পোস্ট হতেই সেটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
তবে মহিলাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে না তিনি অতি সাহসী, না বোকা। মহিলাটির এমন শান্ত চলাফেরা দেখে একবারও মনে হচ্ছে না তিনি প্রথম এরকম কাজ করেছেন। বরং মনে হচ্ছে সিংহদের নিয়ে তাঁর এমন চলাফেরা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ইনস্টাগ্রামে রোম খাড়া করা ভিডিওটি পোস্ট করেছে @ গার্ল ফ্রম প্যারাডাইস নাইন। মহাশক্তিশালী তিনটি মহিলাকে যেমন আক্রমণ করছে না, তাদের যিনি ছবি তুলছেন, তাঁকেও তারা আক্রমণ করেনি। ক্যামেরাম্যান তাদের ছবি অনায়াসেই তুলে গিয়েছেন। ভিডিও-র শেষদিকে দেখা গিয়েছে মহিলাটি ওই তিনটি সিংহের পিঠে আদর করে চাপড়াচ্ছেন। গা ধরে হালকা করে রগড়ে দিচ্ছেন। তবে আফ্রিকাতেও সিংহদের নিয়ে চলেন কেউ কেউ। সেদেশে বন্য জন্তুদের সঙ্গে তাঁদের সখ্য নিয়ে অনেক কাহিনি শোনা যায়। যদিও এই ভিডিও দেখে নেটিজেনরা চমকে উঠেছেন। কেউ কেউ সতর্কতা জানিয়েছেন কারণ বন্য জন্তুদের বিশ্বাস করা শক্ত। কখন কী হয়ে যায়।
Paraded With A Garland Of Shoes : চুরি সন্দেহে ক্লাস ফাইভের ছাত্রীকে ভূত সাজিয়ে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল হোস্টেল চত্বরে!
মহানগর ডেস্ক: অমানবিক! চুরি সন্দেহে আদিবাসীদের সরকারি হোস্টেলের ক্লাস ফাইভের এক ছাত্রীকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরালেন (Paraded With A Garland Of Shoes) হোস্টেলের মহিলা সুপারিনটেন্ডেন্ট। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুলে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলাপ্রশাসন। গত সপ্তাহে জেলার ডামজিপুরায় গ্রামে আদিবাসীদের হোস্টেলে এই ঘটনার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়। মেয়েকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানোয় তার পরিবার জেলা কালেক্টরের দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। মেয়েটির বাবার কাছ থেকে অভিযোগ শোনার পর জেলা কালেক্টর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তের পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে তিনি জানিয়েছেন।
ওই মহিলা সুপারিনটেন্ডেন্টকে পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে ডামজিপুরার আদিবাসী বিষয়ক দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে ছাত্রীটির বাবা জানিয়েছেন ডামজিপুরায় আদিবাসী বিষয়ক পরিচালিত হোস্টেলের আবাসিক তার মেয়ে তাঁকে ঘটনাটির কথা জানায়। তাঁর অভিযোগ মেয়েকে ভূত সাজিয়ে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে হোস্টেল চত্বরে ঘোরানো হয়। মহিলা সুপারিনটেন্ডন্টের অভিযোগ তাঁর মেয়ে অন্য একটি মেয়ের কাছ থেকে চারশো টাকা চুরি করেছে। এই ঘটনার পর হোস্টেলে থাকতে তাঁর মেয়ে রাজি নয় বলে সে জানিয়েছে। আদিবাসী বিষয়ক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শিল্পা জৈন জানিয়েছেন অভিযুক্ত মহিলা সুপারিনটেনডেন্টকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Giant Mysterious Object: ফ্লোরিডার সমুদ্রতীরে রহস্যময় বস্তু ঘিরে চাঞ্চল্য, আসছে বিশেষজ্ঞ দল!
মহানগর ডেস্ক: আমেরিকার ফ্লোরিডার (Florida) ডেটোনা সমুদ্রতীরে বিশাল এক রহস্যময় বস্তু (Giant Mysterious Object) ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রহস্যময় বস্তুটি কাঠ এবং সম্ভবত ধাতুর তৈরি বলে জানা গিয়েছে। লম্বায় আশি ফুট বলে জানা গিয়েছে। সমুদ্রতীরে বেড়াতে আসা লোকজনদের চোখে প্রথম নজরে পড়ে রহস্যময় বস্তুটি। সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের জন্য তীরে পড়ে থাকা বস্তুটি কারো নজরে পড়েনি। কাউন্টির অধিকর্তারা জানান ওই রহস্যময় বস্তুটি এর আগে বালির নীচে চাপা পড়েছিল। এ বছরের শুরুতে হ্যারিকেন ইয়ান ও নিকোলে ভোলুসিয়া কাউন্টিকে তছনছ করে দেয়। বস্তুটি কে তা জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে অসংখ্য জল্পনা চলছে। কারো কারো দাবি এটি কোনও প্রাচীন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন এটি একটি পুরনো জেটি বা জাহাজঘাঁটার টুকরো। আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন রহস্যময় বস্তুটি কোনও খেলার সামগ্রী। ভোলুসিয়া কাউন্টি বিচ সেফটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি একটি রহস্যময় বস্তু। অনেকে ভাবছেন এটি প্রাচীন জাহাজের টুকরো। সমুদ্রতটে অভূতপূর্ব ক্ষয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলুসিয়া বিচ সেফটি ডেপুটি চিফ বহুদিন তাঁরা এমন ধরণের ভূমিক্ষয় দেখেননি। প্রায় পঁচিশ বছর ধরে তিনি রয়েছেন। এই প্রথম তিনি এমন ঘটনা দেখলেন। ফ্লোরিডার আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজিক্যাল টিমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা সমুদ্রতীরে তোলা ছবি খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখবে। প্রসঙ্গত, এ বছর জলবায়ু পরিবর্তনে সারা বিশ্বে একাধিক অস্বাভাবিক দেখতে পাওয়া গিয়েছে।