Home Lifestyle Baby Health : সদ্যোজাতকে সবদিক থেকে সুরক্ষিত রাখতে জন্মের পরেই করিয়ে নিন এই পরীক্ষাগুলি

Baby Health : সদ্যোজাতকে সবদিক থেকে সুরক্ষিত রাখতে জন্মের পরেই করিয়ে নিন এই পরীক্ষাগুলি

by Oindrila Chakraborty

মহানগর ডেস্ক : একটি শিশু যখন পৃথিবীতে জন্মায় তখন নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাকে বেশ কিছুটা সময় দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় জন্মাবার পরেই কিছু কিছু সমস্যার মধ্যে পড়ে নবজাতকেরা। তবে বাবা মা এদের সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর জন্মের পরে কিছু টেস্ট রয়েছে যেগুলি অত্যন্ত জরুরী। জন্ম আবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো করিয়ে ফেলতে হয়। তা না হলে আর পাঁচটা বাকি শিশুর মত বিকাশ হয় না তাদের। গুনতে হয় মাশুল।

জন্মবার পরে যে টেস্টগুলি করা অত্যন্ত প্রয়োজন সেগুলি হল…
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর করতে হবে ‘টিপ টু টো এক্সামিনেশন’। এর দ্বারা চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে মাথার তালু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়। কী কী টেস্ট রয়েছে?
প্রথমেই আসে মাথার আকার ও ওজনের সঠিক পরিমাপ করা। মাথার তালু খোলা না থাকলে মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
চোখে যে পথে আলো প্রবেশ করে তার দ্বারা দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করা হয়, যাকে ‘রেড রিফ্লেক্স’ বলা হয়।
জন্মের পরই শ্রবণশক্তি পরীক্ষা হয়, যাকে ‘ইউনিভার্সাল নিউবর্ন হিয়ারিং স্ক্রিনিং’ বলা হয়। যে কোনও বয়সেই এই পরীক্ষা করা যেতে পারে।
নবজাতক শিশুর তালু কাটা আছে কি না তা পরীক্ষা করা হয়। অনেকেরই জন্মগত তালু কাটা থাকে। তাই পর্যবেক্ষণ জরুরি।
পরবর্তী ধাপে হার্ট ও ফুসফুসের যথাযথ পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। ফুসফুসের কোনও সমস্যা থাকলে পালস অক্সিমিটার অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি তীব্র হয়। বড় কোনও ত্রুটি জন্মের সময় জানা যায় এবং ছোট ত্রুটি জন্মের পর ২-৩ মাসের মধ্যে প্রকাশ পায়।

পেটের পর্যবেক্ষণে হাত দিয়ে ডাক্তার লিভার ও কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রমের আন্দাজ করতে পারেন। কোনও শিশুর প্রস্রাব কম হলে ও অস্বাভাবিক ফুলে গেলে কিডনির সমস্যা আছে ধরে নেওয়া যায়।

জিনগত সমস্যা নির্ধারণে জন্মের তিন দিনের মাথায় থাইরয়েড টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। থাইরয়েড পরীক্ষা একটি শিশুর জন্য অপরিহার্য হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অনেক শিশুর সঠিক সময়ে থাইরয়েড পরীক্ষা না হওয়ায় কারণে তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়। বিদেশে অনেক প্রকার জেনেটিক্যাল পরীক্ষা হয় কিন্তু এদেশ সেই সচেতনতা নেই। আর খরচও একটা ব্যাপার।

তবে এক থেকে তিন মাসের শিশুদের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি নজরে রাখা প্রয়োজন…

জন্মের ১-৩ মাসের মধ্যে কারও কথা শুনে বা কারও দিকে তাকিয়ে হাসছে কি না।
১.৫-৩.৫ মাসের মধ্যে যেকোনও বস্তুর প্রতি আকর্ষণ রয়েছে কি না।
ছ’মাস বয়সে শিশু পিছন থেকে পেট ও বুকে ভর দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং ঘণ্টা জাতীয় শব্দে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে, এটা না করলে সজাগ হোন।
৫ মাসে হাত থেকে হাতে জিনিস দেওয়া-নেওয়া করবে।
৭ মাসে নিজে বসার এবং ফার্নিচারকে অবলম্বন করে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে।
১০-১২ মাস বয়সে অন্যের সাহায্যে হাঁটতে শুরু করা এবং ১৫ মাস থেকে সাধারণত পিছনদিকে হাঁটা ও অন্যের সাহায্যে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা শুরু করবে।
উপরোক্ত লক্ষণ সমূহ শিশু বিশেষে একটু-আধটু এদিক-ওদিক হতে পারে। যে কোনও একটির বিলম্বে সত্বর ডাক্তারের পরামর্শ নিন কারণ শিশুর অনেক ত্রুটিই তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করলে সেরে যায়।

You may also like