মহানগর ডেস্ক: উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে উৎসবের আমেজ। এরই মধ্যে আবার অল্প অল্প ঠান্ডা পড়তে শুরু হয়েছে,যাকে বলে সোনায় সোহাগা। বাংলায় দুর্গাপুজোর পর দেশজুড়ে দেওয়ালির রোশনাই। আলোর উৎসবে শব্দেরও দখলদারি কম ছিল না এবারও। সে যাই হোক, করোনার করাল গ্রাস কাটিয়ে ফের উৎসবে মেতে উঠেছেন দেশের মানুষ। আর এবারের দেওয়ালিতে (Diwali Festival) আলোর রোশনাইয়ের পাশাপাশি নজর কেড়েছে বাহুবলী সামোসা (Bahubali Samosa)। বাহুবলী বলে বাহুবলী। তার চেহারাতেই মালুম হচ্ছে এ যে সে সামোসা নয়। যাকে বলে আকারে প্রকারে জায়ান্ট।
এবারের উৎসব মরশুমে এমন বিশাল সামোসা, যাকে বাংলায় সিঙ্গারা বলে, সেই সামোসা ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিশাল উন্মাদনা। এই বিশাল সামোসা একা খাওয়ার ক্ষমতা বা সাধ্য কারও আছে কিনা সন্দেহ। আপনি এই সামোসা চাটনি, ছোলা, দই দিয়েই খান বা এমনিই বসান না বসান, এটা মানতেই হবে সবাই এই সামোসার প্রেমে হাবুডুবু খান। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন এই বাহুবলী সামোসার ওজনটা কত। মশাই পাক্কা আট কেজি ওজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বাহুবলী সামোসা দেখার পরেই বহু নেটিজেন যাকে বলে ফিদা হয়ে গিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন জায়ান্ট সামোসা দেখে সামোসা রসিকরা এক কথায় তাজ্জব।
আর এই বাহুবলী সামোসার লোভনীয় ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে হইহই ফেলে দিয়েছেন শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা। ভিডিও পোস্টের পরই নেটিজেনরা যার পর নাই আহ্লাদিত। সত্যি, এরকম না হলে দেওয়ালি জমে! ভিডিওটিতে ক্যাপশনও দিয়েছেন গোয়েঙ্কা মশাই। লিখেছেন, আমার বউ বলেছে আজ একটারও বেশি সামোসা খাবে না। উত্তরপ্রদেশের একটি মিষ্টির দোকান এই বাহুবলী সামোসা বানিয়ে সামোসা পাগল প্রতিযোগীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাহুবলী সামোসা চ্যালেঞ্জে। দ্রুত সাবাড় যে করতে পারবে, তিনি পাবেন একান্ন হাজার টাকা পুরস্কার। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি একলপ্তে চারশো ছিয়ানব্বই হাজার ভিউয়ার পেয়েছে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, বাবারে, এই সামোসা তিনি কখনওই একবারে খেতে পারবেন না। আরেকজনের চুটকি মন্তব্য, এই সামোসা তার থেকেও বড় সাইজের। আরেকজন লিখেছেন এত বড় সামোসা একা খাওয়া সম্ভব নয়। দারুণ ভিডিও। চতুর্থ মন্তব্য করেছেন, এইজন্যই এলিয়েনরা এখানে আসে না।