মহানগর ডেস্ক: তাঁর পদবি দত্ত। কিন্তু যে রেশন কার্ড তিনি হাতে পেয়েছেন, তাতে দত্তের বদলে ছাপা হয়েছে কুত্তা। যা হাতে পেয়ে মাথায় হাত পড়েছে রেশনগ্রহীতার (Ration Card Holder)। প্রতিবাদ জানাতে হাতে সেই রেশনকার্ড নিয়ে একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির জানালা থেকে কুকুরের ডাক ডেকে (Barking Like Dog) দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেন সেই রেশনগ্রহীতা। একবার ডেকে তিনি ক্ষান্ত হননি, যতক্ষণ না এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট বিষয়টি নিয়ে অবহিত হলেন,ততক্ষণ পর্যন্ত কুকুরের ডাক ডেকে গেলেন ওই রেশনগ্রহীতা। বাঁকুড়ার দুয়ারে সরকার শিবিরে তোলা ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
শ্রীকান্তি দত্ত নামে ওই ব্যক্তি জানান রেশনকার্ডে তাঁর পদবি একবার নয়,তিন তিনবার দত্তের বদলে কুত্তা ছাপা হয়েছে। দুবার পদবি ভুল ছাপার পর এবার কুত্তা পদবি ছাপার পর তিনি এমনভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হিন্দিতে কুত্তা শব্দের মানে কুকুর। এ নিয়ে তার আবেদনে পাত্তা না দেওয়ায় তিনি প্রতিবাদ জানানোর এমন রাস্তা বেছে নিয়েছেন। তবে আশ্চর্যজনক ঘটনা হল, এখনও এ ব্যাপারে বাঁকুড়া জেলাপ্রশাসনের কোনও হেলদোল দেখা দেয়নি। শ্রীকান্তিবাবু জানান, তিনি তাঁর পদবি রেশনকার্ডে বদলানোর তিন তিনবার চেষ্টা করেছিলেন। প্রথমে রেশন কার্ডে তাঁর নাম শ্রীকান্ত মণ্ডল ছাপা হয়। তাঁর পদবি মণ্ডল নয়। দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে তা সংশোধনের আবেদন করেন। তারপর তারা তাঁর নাম শ্রীকান্তি দত্তের বদলে শ্রীকান্ত দত্ত ছাপা হয়। তা সংশোধনের জন্য আবেদনের পর ডাউনলোড করতে গিয়ে তিনি দেখেন তাঁর পদবি দত্তের বদলে কুত্তা ছাপা হয়েছে। এটা দেখার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
তারপর ফের দুয়ারে সরকার শিবিরে যান। শিবিরে গিয়ে একজন সিনিয়ার কর্তাকে তিনি দেখতে পান। তাঁর পেছন পেছন গিয়ে বিষয়টি দেখানোর চেষ্টা করেন। জয়েন্ট বিডিওকে রেশন কার্ড দেখালেও তিনি কোনও জবাব না দিয়ে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যান। তিনি কেন সেখান থেকে একরকম পালিয়ে গেলেন, তা শ্রীকান্তিবাবু বুঝতে পারেননি। তিনি কেন ভয় পাচ্ছিলেন তা ধোঁয়াশাই থেকে যায়। তাঁর প্রশ্ন, কতবার একজনের পক্ষে দুয়ারে সরকার শিবিরে যাওয়া সম্ভব। এখানে আসার জন্য তাঁকে সারাদিনের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে কুকুরের ডাক ডেকে প্রতিবাদ করার পর একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন শ্রীকান্তিবাবু। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে তাঁর পদবি সংশোধন করা হবে।
.