মহানগর ডেস্কঃ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর থাকছেন না বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে। সৌরভ গাঙ্গুলি এবং জয় শাহের যুগলবন্দীর মেয়াদ শেষে নতুন করে ময়দানে নামতে প্রস্তুত বিসিসিআই। নতুন প্রেসিডেন্ট রজার বিনির নেতৃত্বে দল গঠনের কাজ প্রায় শেষ। এই নতুন বোর্ডের মেয়াদে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ। প্রেসিডেন্ট পদের পরিবর্তনের পাশাপাশি এই বিশ্বকাপের ঠিক এক বছর আগেই বড়সড় আর্থিক ধাক্কা বিসিসিআইয়ের।
২০১১ সালের পরে ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। এটা ভারতের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বমঞ্চের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার একটা বড় পরীক্ষা ভারতের কাছে। যে কোনও ইভেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে সরকারকে কর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এই করের ছাড় চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এই বিষয়টিই বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে। সূত্রের খবর এতে করে বিসিসিআইয়ের ক্ষতির পরিমাণ ৫৮ থেকে ১১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই কর ছাড় ভারতীয় ক্রিকেটের বড় ইভেন্টের আয়োজনের ক্ষেত্রে বরাবরই সমস্যার সৃষ্টি করে। ২-১৬ সালে বিসিসিআইয়ের প্রাপ্য থেকে ২৩.৫ মার্কিন ডলার কেটে নেওয়া হয়েছিল আইসিসির তরফে। ভারত সরকার সেই সময় আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের জন্য ১০.৯২ শতাংশ চার্জ করেছিল।
ভারত সরকারের তরফে এবছর করের পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে ২১.৮৪ শতাংশ। যদি এটাই হয় তাহলে ভারতীয় বোর্ড ১১৬.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির মুখে পড়বে। যদি ১০.৯২ শতাংশ হারে কর নেয় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ হবে ৫৮.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবার আইসিসি থেকে বিসিসিআই আয় বাবদ পাবে ৪০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কর বাবদ এই পরিমাণ টাকা কাটা যাবে, যা বোর্ডের আয়ে বেশ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।