মহানগর ডেস্ক: শীত মানেই হরেক রকম তরতাজা সবজির পসরা সাজিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে থাকা। আর বাড়ির কত্তা কিংবা গিন্নি হাতে ব্যাগ নিয়ে মন মতো সবজি বাজার থেকে নিয়ে এসে হেঁসেল ভরানোর তাদিগ। মানে এক কথায় শীত মনে সবজির কেনা ও খাবার সময়। আর চিকিৎসকদের মতে যে যত সবজি খেতে পারবে তার হাতেই থাকবে সুস্থতার চাবিকাঠি। কিন্তু আপনি কি জানেন এই শীতের সবজির মধ্যে লুকিয়ে আছে ডায়াবিটিস রোগীদের ভালো থাকার ব্রম্ভাস্ত্র? এক সবজিতেই তারা কাবু করে দিতে পারে শরীরের মধ্যে বাড়তে থাকা এই ভয়ানক অসুখকে। আপনার অজান্তেই আপনি তার বাটা ও সর্ষে দিয়ে ঝাল খেতে পটু। এমনকি বাঙালির পাঁচমিশালি নিরামিষ চচ্চড়ি থেকে ঝোলে তার অবাধ বিচরণ। আর সেটি হল আপনার রান্নাশালে থাকা— শিম।
শিম এমনই একটি সবজি, যার মধ্যে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, এবং জিঙ্কের মতো বহু খনিজে পরিপুষ্ট। আর তার সঙ্গেই রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিন। ফলে নিয়মিত শিম খেলে নানা দিক থেকে উপকার হয় শরীরে। যেহেতু শিমে প্রোটিন এবং ফাইবার বেশি, তাই এগুলি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য দারুন উপকারী হতে পারে। ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার পাচনক্রিয়া বাড়ায়। ফলে এক ধাক্কায় রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। তা ছাড়াও শিমে ডেইডজেইন এবং জেনিস্টেইন নামের ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’ রয়েছে। এগুলি এমন উপাদান, যা ইনসুলিনের প্রতি কোষের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তবে শুধুই যে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণই, তা নয়, আরও গুণবান এই শিম। কী কী উপকার পাওয়া যায় শিম খেলে?
১) রোগের প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
২) ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকায় চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে শিম।
৫) হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমায় শিম।