Home Featured Health tips: মোটা হয়ে যাবেন ভেবেই ডায়েট চার্ট থেকে ঘি বাদ? বড় ভুল করছেন

Health tips: মোটা হয়ে যাবেন ভেবেই ডায়েট চার্ট থেকে ঘি বাদ? বড় ভুল করছেন

by Arpita Sardar

মহানগর ডেস্ক: ঘি। নাম শুনলেই পুরনো দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। কলাপাতার উপর গরম গরম ভাত। আর তার উপর একটু গাওয়া ঘি আর আলু সেদ্ধ। কিংবা গরম সুক্ত। আবার কোনও সবজির ডালনা। আবার এখন কার হালফ্যাশনের বিরিয়ানী, যাইখান এই ঘি বাবাজির উপস্থিতি বলে বলে রয়েছে। কিন্তু বর্তমান স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এই ঘি এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে কোলেস্টেরল, হাই ক্যালরি নামক ক্ষতিকর শব্দগুলির তকমা। ফলে বিয়েবাড়ি থেকে পুজবাড়িতে খাবার সময় পাতে ঘি দিতে এলেই অনেকে রয়েছেন যারা হাত দেখিয়ে দেন। দেবেন না। কিন্তু আপনিকি জানেন এতে আপনার শরীরের ক্ষতি বই কিছু ভালো হচ্ছে না।

আমরা হয়তো অনেকেই ভুলে গেছি ঘি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থ দিয়ে পরিপূর্ণ৷ তবে পরিমাণ মত ঘি খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। বাড়িতে তৈরি ঘি হলে তো কথাই নেই তবে দোকানে গিয়ে একটু ভালো ঘি এর খোঁজ করলে পাওয়া যায়।
দিনের শুরুতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা অনেক৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে অনেক শারীরিক জটিলতা থেকে ঘি আমাদের মুক্তি দিতে পারে।

কি কি উপকার হয় ঘি খেলে? চলুন দেখা যাক।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি: ঘি ইনসুলিন রেসপন্স বৃদ্ধি করে আমাদের হজমের ক্ষমতাকে মজবুত করে। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চামচ ঘি পরের দিন সকালে মুক্তি দেবে কোষ্ঠকাঠিন্য। বজায় থাকে পরিপাক ক্রিয়ার সুস্থতা৷

ক্যালসিয়াম শোষণ: ঘি-তে রয়েছে ভিটামিন-কে (Vitamine-K)। যা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় এবং হাড়ের দুর্বলতা দূর করতে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ঘিয়ের নানা উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে ঘন ঘন অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা করে।

তবে মাথায় রাখতে হবে, ভারতীয় রান্নার ক্ষেত্রে উচ্চ তাপ দরকার কারণ বেশি আঁচের রান্না ঘিয়ের গুণমান কখনও নষ্ট করে দেয় না। পাশাপাশি প্রতিটি খাবারেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে৷ তাই শরীরে তেমন কোনও জটিল রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েটে ঘি যোগ করুন৷ তাছাড়া ঘি কেনার সময় বা বাড়িতে তৈরির সময় গুণমানের সঙ্গে কোনওরকম আপস করবেন না৷

You may also like