মহানগর ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) শুরুর দিন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিরোধী শিবির। এবার সোমবার সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বাংলার শাসক দলের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। তবে এবার প্রশ্ন উঠছে, যেখানে অধিবেশন শুরুর দিন থেকে ধর্নায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, সেখানে কীভাবে এদিন ধর্না কর্মসূচিতে সামিল হল গেরুয়া শিবির (BJP)?
সোমবার সকাল থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ধর্নায় সামিল হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দেবশ্রী চৌধুরী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ খগেন মুর্মু সহ আরও অনেকে। বাংলার শাসক দল তৃণমূলকে কেন্দ্র করে পোস্টার হাতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এত বড় দুর্নীতি করতে পারেন না। কাটমানির খাদ্যশৃঙ্খলে তৃণমূলের সকলে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক”।
অন্যদিকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বঙ্গ বিজেপির জমায়েত প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেছেন, এই বিষয়ে বিস্তারিত সংসদীয় দলের নেতৃত্ব বলবেন। প্রথম থেকে বাদল অধিবেশনে ধর্না কর্মসূচির বিরোধিতা করে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সমস্ত নির্দেশ অমান্য করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সরকার সংসদ চত্বরে ধর্নায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, সেখানে তা অমান্য করে কীভাবে ধর্নায় বসেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা?
ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, ‘ধর্না দেওয়া যাবে না, সেই নিয়ম বিজেপিরই তৈরি করা। আজ তাঁরাই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জমায়েত হয়েছেন। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্না করা যাবে না। কিন্তু বিজেপি যেকোনও ইস্যুতে চাইলেই ধর্নায় বসতে পারে’।
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তল্লাশি চালানো হয় পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটেও। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ২১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। পরক্ষনেই পার্থ-অর্পিতাকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারের ছয় দিনের মধ্যে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এমনকি দলীয় সমস্ত পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন এই মর্মে সংসদে ধর্না বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের।