Home Featured Bengaluru School : বেঙ্গালুরুর স্কুলে পড়ুয়াদের ব্যাগ থেকে বেরলো কন্ডোম, কনট্রাসেপটিভ, সিগারট, থিনার!

Bengaluru School : বেঙ্গালুরুর স্কুলে পড়ুয়াদের ব্যাগ থেকে বেরলো কন্ডোম, কনট্রাসেপটিভ, সিগারট, থিনার!

by Mani Sankar Debnath

মহানগর ডেস্ক: স্কুলে পড়ুয়াদের মোবাইল ফোন নিয়ে আসার অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। অভিযোগ আসার পর আচমকাই পড়ুয়াদের ব্যাগ তল্লাশি শুরু করা হয় বেঙ্গালুরুর স্কুলে (Bengaluru School) । ব্যাগে তল্লাশির পর যা পাওয়া গেল তাতে চোখ ছানাবড়া স্কুল কর্তাদের। ব্যাগ থেকে বেরোল কন্ডোম, কনট্রাসেপটিভ, সিগারেট ও লাইটার, থিনার, যা নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় (Found Condom, Contraceptive, Cigarette)। অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগে পাওয়া গেল মোটা টাকার বান্ডিলও। স্কুলপড়ুয়াদের ব্যাগে এমন সব জিনিস যে পাওয়া যাবে, তা আদৌ ভাবতে পারেননি স্কুলের কর্তারা। এই ঘটনায় তোলপাড় স্কুল। ক্লাসে মোবাইল নিয়ে আসার অভিযোগের পর গোটা শহরের বিভিন্ন স্কুলে সমস্ত পড়ুয়ার ব্যাগ খুলে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাসোসিয়েটেড ম্যানেজমেন্টস অব প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি স্কুলস ইন কর্ণাটক।

এই ঘটনার পর বাজেয়াপ্ত করা জিনিসগুলি শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কর্তাদের রীতিমতো উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই ঘটনায় চমকে গিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বিভিন্ন স্কুলে অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষদের জানান তাঁদের সন্তানদের মধ্যে হঠাৎ পরিবর্তন আসায় তাঁরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। তবে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড বা কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং, পুনর্বাসনমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে এসবের কুফল সম্পর্কে অবগত করা হয়। যেসব পড়ুয়া নেশায় আসক্ত বিশেষ করে তাদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করে স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষ। তাদের ব্যাগ থেকে কনডোম, জন্মনিরোধক পিল মেলার পর তা অভিভাবক ও শিক্ষকদের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিয়েছে।

একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল জানান, যদিও তাঁরা স্কুলে স্কুলে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন, তবু তাঁরা অভিভাবকদের দশ দিনের ছুটি নিয়ে দশ দিনের জন্য বাইরে কোথাও ঘুরে আসার জন্য দশদিনের ছুটি মঞ্জুর করেছেন। নাবালকদের মধ্যে মাদকাসক্তি ভারতের স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে দিনদিন বাড়ছে বলে একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছ হাজার পড়ুয়াকে নিয়ে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে দশ শতাংশ পড়ুয়া নেশার শিকার। যে নেশাদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে সিগারেট, মদ, মারিজুয়ানা, আফিম ও ইনহেলার। ২০০৭ সালে স্বাস্থ্য বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে স্কুল ও জুনিয়ার কলেজগুলিতে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করে কর্ণাটক সরকার।

You may also like