মহানগর ডেস্ক : কথায় রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই তেরো পার্বণের পর্ব শুরু হয় দুর্গাপূজা দিয়ে। যদিও এর আগে উৎসবে শামিল হয় বাঙালি। তবে বড় উৎসবের মধ্যে অন্যতম দুর্গাপূজা। আর ঠিক দুর্গাপূজার পরে হাজির হয় দীপাবলি ,কালীপুজো ,ভাইফোঁটা। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের তিথিতে বাঙালি মেতে ওঠে ভাতৃদ্বিতীয়াতে।
তবে ভাইফোঁটা যে কেবল বাঙালির উৎসব এমনটা বললে ভুল হবে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কামনা করতে বোনেরা আনন্দে মেতে ওঠে এই উৎসবের দিনে। বাংলা ছাড়াও উৎসব পালন করা হয় সমস্ত দেশ জুড়ে। যদিও বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে পরিচিত ভাইফোঁটা।
যেমন পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকাতে ভাইফোঁটা বা ভাতৃদ্বিতিয়া নামে পরিচিত এই উৎসব। অথচ একটু উত্তর দিকে অর্থাৎ পার্বত্য এলাকাতে যদি যাওয়া যায় যেমন দার্জিলিং, নেপাল সেই জায়গায় স্থানীয়রা এই উৎসবের নাম দিয়েছেন ভাইটিকা। অন্যদিকে উত্তরের বিভিন্ন শহর যেমন- দিল্লি গুরুগ্রামে এর নাম আবার ভাই দুজ। মহারাষ্ট্র, গোয়া ,কর্নাটকের মতো রাজ্যে উৎসব পরিচিত ভাইবিজ নামে। তবে উৎসবের নাম যাই হোক না কেন উৎসবের কারন কিন্তু এক।
প্রত্যেকটা উৎসবেই অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে মিষ্টি মুখ। আর এই দিন প্রত্যেক বাড়িতে ফোঁটা দেওয়ার পর ভাইকে মিষ্টিমুখ করান বোনেরা । তারপর সারাদিন ধরে চলে আনন্দ হৈ-হুল্লোড়।