মহানগর ডেস্ক: বাঙালি মানেই মিষ্টিমুখ। আর এই মিষ্টিসুখের উল্লাসে রসে বসে থাকে বাঙালি। সাম্যবাদীর থেকেও বাঙালি অনেক বেশি মিষ্টিবাদী জাতি। আমি পূজো পার্বণ অতিথি আপ্যায়ন কিংবা হঠাৎ ইচ্ছা সব কিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে মিষ্টি। আর ভাইফোঁটায় মিষ্টি ছাড়া না কোন ভাই তার দিদির বাড়িতে পা রাখেন। না।কোন দিদি তার ভাইকে আদর আপ্যায়ন করে। এই কটা দিন ডায়াবেটিস যেন ছুটি কাটাতে যায়।
তবে ভাইফোঁটা মানে একটু স্পেশাল কিছু। রোজ একঘেয়ে যে মিষ্টি খাওয়া হয় সেতো আর ভাইয়ের পাতে তুলে দেওয়া যায় না। তাই চলুন যাওয়া যাক হরেক রকম মিষ্টির খোঁজে। ভাইফোঁটার দিন সকাল থেকেই মিষ্টির দোকানে ভিড় দেখে মনে হয় প্রশান্ত মহাসাগর থেকেও বেঁচে ফিরে আসা যায় তবে মিষ্টির দোকান থেকে কখন বেরোবেন তা জানা নেই।
তবে ভাইফোঁটা নিয়ে বিভিন্ন পরিবারের বিভিন্ন রকমের গল্প শুনতে পাওয়া যায়।দমদমে নাগেরবাজারের বিশ্বাসবাড়িতে ভাইফোঁটার দিন একসঙ্গে হাজির হন ৪ বোন রমলা, রেবা, রুপা ও রত্না। ভাই মোটে এক জন। তা-ও বয়সে সকলের ছোট। দিদিদের আনা মিষ্টি বোমারু বিমানের গোলার মতো পাতে পড়ে। বলছিলেন ভাই রত্নদীপ বিশ্বাস। ৪ দিদি ৮ রকম মিষ্টি আনেন প্রতি বছর। তা-ও একই মিষ্টি যেন দু’বার না হয়ে যায়, সে দিকেও নজর রাখতে হয়। এ যেন অলিখিত এক প্রথা।
তবে ভাইফোঁটার দিন মিষ্টির দোকানগুলোতে নবীন-প্রবীণ দু’ধরনেরই মিষ্টি থাকে। এক মিষ্টি বিক্রেতার কথা অনুযায়ী এদিন ৮০ রকমের সন্দেশ থাকবে। তবে সব রকমের সন্দেশের নাম দেওয়া সম্ভব নয়। পরমা, মনোহরা, মন মাতানো ইত্যাদি সন্দেশ থাকবে। এছাড়া গুড়ের শাঁখ সন্দেশ, ইন্দ্রানী- নন্দিনী দুটি সন্দেশ থাকছে।
তবে মিষ্টির দোকানগুলোতে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে সাবেকি কাঁচাগোল্লা যেমন ছক্কা মারছে তেমনি মাঠ ছাড়তে নারাজ হালের বাটারস্কচ সন্দেশ। এছাড়া বয়স্ক ভাইদের জন্য থাকছে কিছু স্পেশাল মিষ্টি যেখানে চিনির ব্যবহার নেই। সবমিলিয়ে ভাইফোঁটা জমজমাট করতে এখন থেকেই লিস্ট বানাতে শুরু করুন মিষ্টি তুলে দেবেন ভাইয়ের পাতে।