Home Featured Bilkis Bano Gang Rape Case : গুজরাত ভোটের একদিন আগে গণধর্ষণ ও খুনে মুক্তিপ্রাপ্তদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো

Bilkis Bano Gang Rape Case : গুজরাত ভোটের একদিন আগে গণধর্ষণ ও খুনে মুক্তিপ্রাপ্তদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো

by Mani Sankar Debnath

মহানগর ডেস্ক: তাঁকে গণধর্ষণ ( Bilkis Bano Gang Rape Case) করে সাজাপ্রাপ্ত এগারোজনকে মেয়াদের আগে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় শুধু গণধর্ষণই নয়, তাঁর গোটা পরিবারের সাতজনকে খুন করা হয়। এ বছরের পনেরো আগস্ট,স্বাধীনতা দিবসে বাতিল নীতির অধীনে (Out Dated) তাদের মুক্তি দেয় আদালত। গুজরাত সরকারের এহেন পদক্ষেপ ঘিরে দেশজুড়ে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মুক্তির পর ধর্ষকদের মালা পরিয়ে নায়কের সম্মান দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিল একটি হিন্দু সংগঠনের লোকজনেরা। তাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে গুজরাত সরকার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পরই সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া হয়। ভালো ব্যবহারের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় গুজরাত সরকার। তারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে।

এক সাজাপ্রাপ্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানায় তার মুক্তির বিষয়টি ১৯৯২ সালের রেমিশন নীতির অধীনে গুজরাত সরকার তার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এরপর সিবিআই ও বিশেষ আদালতের বিচারের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও গুজরাত সরকার এগারোজন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দেয়। তবে ২০১৪ সালের রেমিশন নীতি অনুসরণ করলে তাদের পক্ষে অবশ্য তাদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব হতো না। ২০১৪ সালের রেমিশন নীতি অনুযায়ী কোনও ধর্ষণ ও খুনের আসামিকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হতো না। তাঁর আবেদনে গণধর্ষিতা জানান সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি মহারাষ্ট্রের নেওয়া উচিত ছিল কারণ গুজরাতের বদলে বিচার সেখানেই হয়েছিল। ২০২১ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোর যখন ২১ বছর বয়েস তখন তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। খুন করা হয়েছিল তাঁর তিন বছরের মেয়ে সহ পরিবারের এগারোজনকে। গুরুত্বপূর্ণ গুজরাত ভোটের প্রথম দফার ভোটের ঠিক একদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো।

You may also like