মহানগর ডেস্ক: সামনেই বঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগে একাধিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। উপর মহল থেকে একাধিকবার মিটিয়ে নিতে বলার পরেও সেই ঝামেলা কার্যত জিইয়ে রাখতে চাইছে তারা। কয়েকদিন আগেই সেই ঝামেলার মাত্রা ছাড়ায় মিঠুন চক্রবর্তী–সুকান্ত মজুমদারের রাঢ়বঙ্গের সাংগঠনিক বৈঠকের সামনে। এবার সেই ঘটনায় নয়াদিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বঙ্গ–বিজেপিকে একপ্রকার দাওয়াই দিলেন। দলের অন্দরের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গ–বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষমতা কার্যত কেড়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে রীতিমতো ফতোয়া জারি করে রাজধানী থেকে বার্তা এসেছে, এখন থেকে রাজ্য, জেলা বা মণ্ডল পর্যায়ে কোনও সাংগঠনিক পরিবর্তন করার কোনও অধিকার থাকবে না বঙ্গ–বিজেপির। এই সিদ্ধান্ত জানার পর একপ্রকার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বদের। জেলাগুলিতে সংগঠন তলানিতে। সেটা রিপু করা যায়নি। বাকি যেটুকু কাজ বেঁচেছিল রাজ্য নেতাদের হাতে সেটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন তাঁরা কী করবেন? সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে।
এ আবহে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী–সহ রাজ্য নেতৃত্ব শীঘ্রই কয়েকজন জেলা সভাপতি পদে বদল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ঠিক তার আগেই নয়াদিল্লির এই নির্দেশ হিসেব যে সমীকরণ ওলটপালট করে দিয়েছে। তা বুঝতে অসুবিধা নেই। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য কমিটির নেতা বলেন, ‘গত ১৭ অক্টোবর দলের কোর কমিটি ঘোষণার প্রক্রিয়া দেখে কিছুটা ইঙ্গিত মিলেছিল। তখন রাজ্য ইউনিটকে বাদ দিয়ে সরাসরি নয়াদিল্লি থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্ত বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার নির্দেশ, এখন থেকে নয়াদিল্লিকে না জানিয়ে কোনও সাংগঠনিক রদবদল করা যাবে না। নতুন কাউকে পদে আনা বা অপসারণের ব্যাপারে সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডেদের সাংগঠনিক রিপোর্ট করে তাদের নির্দেশ মত করতে হবে। আর অনুমতি ছাড়া কোনও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এরপর থেকে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা মুখ না খুললেও একটা চাপা উত্তেজনা তৈরী করেছে।