মহানগর ডেস্ক: ঘৃণা-বিদ্বেষ,তারপর খুন। খুন করার পর তাদের সম্মান এবং পুরস্কার দাও। এই হচ্ছে বিজেপির গুজরাত মডেল (Gujarat Model)। বিলকিস বানো গণধর্ষণ (Bilkis Bano Gang Rape Case) ও হত্যা মামলায় ধর্ষণ-খুনে সাজাপ্রাপ্তদের সংস্কারি আখ্যা দেওয়া বিধায়ককে ফের বিজেপি গোধরায় (BJP Godhra Candidate) প্রার্থী করায় তার কড়া সমালোচনা করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শনিবার তৃণমূল সাংসদ বিজেপির গুজরাত মডেলের ব্যাখ্যা করে জানান, ওই মডেল মানে ঘৃণা ছড়াও, ধর্ষণ করো, তারপর খুন করো। এটাই গেরুয়াশিবিরের গুজরাত মডেলের মোদ্দা কথা। এ বছর স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তিতে ভালো ব্যবহারের জন্য পনেরো বছর জেল খাটার পর এগারোজন সাজাপ্রাপ্তকে কেন্দ্রের অনুমোদনে মুক্তি দেয় গুজরাতের বিজেপি সরকার।
সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে কজন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন, মহুয়া তাঁদের একজন। টুইট করে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন.বিজেপি বিধায়ক চন্দ্রশিং রাউল, যিনি আগে কংগ্রেসে ছিলেন, তিনি বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় পনেরো বছর জেল খাটার পর সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে প্যানেলে ছিলেন। এক প্রাক্তন বিজেপিমন্ত্রী,যিনি গোধরার ছ বারের বিধায়ক, যে গোধরা ২০০২ সালে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল এবং যেখানে অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয় এবং তাঁর তিন বছরের মেয়ে-সহ এগারোজনকে খুন করা হয়েছিল। ওই বিধায়ক একটি অনলাইন সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন সাজাপ্রাপ্তরা ব্রাহ্মণ এবং ব্রাহ্মণরা সংস্কারি বলেই পরিচিত। হতে পারে কারো খারাপ ইচ্ছেয় তাদের কোণঠাসা করে সাজা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের সমালোচনা, নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। একাধিক বিরোধী দল মুখর হয়ে ওঠে নিন্দায়। তেলেঙ্গানার সোশ্যাল মিডিয়ার আহ্বায়ত ওয়াই সতীশ রেড্ডি বলেন, বিজেপি এখন ধর্ষণকারীদের ভালো সংস্কারের মানুষ বলে আখ্যা দিচ্ছে। একটা দল কতটা নীচে নামতে পারে,এটা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সব মিলিয়ে গুজরাতে হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোটের আগে রীতিমতো সরগরম সে রাজ্যের রাজনীতি।