মহানগর ডেস্ক: আগামী সোমবার পর্যন্ত ইডির হেফাজাতে থাকবেন সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। রাজ্যসভার সাংসদকে রবিবার গভীর রাতে জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডির (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধীনে থাকবেন উদ্ধব ঘনিষ্ঠ। যার পর রাউতের ভাই তোপ দেগেছেন বিজেপির দিকে।
প্রসঙ্গে বিধায়ক সুনীল রাউত বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি ভয় পেয়েছে সঞ্জয় রাউতকে। যিনি একজন সত্যিকারের শিব সৈনিক হওয়ার কারণে কখনও কোনও দুর্নীতিতে লিপ্ত হবেন না। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সেনা সাংসদের ভাই জানিয়েছেন, “আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আছে। আজ আদালত তাঁকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। সঞ্জয় রাউত বালা সাহেব ঠাকরের একজন সত্যিকারের শিব সৈনিক। তিনি কখনও দুর্নীতি করবেন না। তাঁকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি”।
আদালতে শুনানির সময় রাউতের আইনজীবী মনোজ মোহিতে বলেছেন, ‘মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তদন্ত তখন থেকেই শুরু হয়েছিল। বহুদিন আগে একটি চার্জ সিটও দাখিল করা হয়েছিল’। ইডি জানিয়েছে, রাউতের বাড়ি থেকে মোট সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি আলিবাগের সম্পত্তির সঙ্গে প্রায় ১.১৭ কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। সংস্থার বক্তব্য, রাউতের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ১.০৮ কোটি টাকার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা আদালতের কাছে ১০ আগস্ট পর্যন্ত রাউতকে হেফাজতে রাখার আবেদন করেছিলেন। অবশেষে আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত রাউতকে ইডির হেফাজাতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিচারক।
মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনের কয়েক দিন পরই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাউত। এখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন একনাথ শিণ্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। একদিকে শিবসেনার মালিকানা নিয়ে বিবাদ জারি রয়েছে ঠাকরে ও শিণ্ডে শিবিরের মধ্যে। অন্যদিকে ইডি আধিকারিকদের হেফাজতে রাউত।