মহানগর ডেস্ক: ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে গুজরাতে (Gujarat Election)। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই সে রাজ্যে জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। পদযাত্রা,মিছিল, সভা-কোনওটাতেই পিছিয়ে নেই শাসকদল বিজেপি,কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি (BJP, Congress And AAP)। বিজেপির দাবি তারা একশো বিরাশিটি আসনেই জিতবে। তবে সম্প্রতি মোরবী সেতু বিপর্যয়ের পর অনেকটাই ব্যাকফুটে পদ্মশিবির। অন্যদিকে সমান আশাবাদী কংগ্রেস ও আপও। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগে দুদিনের জন্য গুজরাত সফর করে গিয়েছিলেন আপের জাতীয় আহ্বায়ক ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সফরে গুজরাতবাসীদের কয়েকগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে মোরবী বিপর্যয়ের পর গতকাল কিছুটা ব্যাকফুটে থাকা বিজেপির হয়ে প্রচারের নান্দীমুখ করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি-আপকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ময়দানে কংগ্রেসও।
তবে বিজেপির এই দুর্গে তারা কতটা কী করতে পারবে,তা নিয়ে এখনও সন্দিহান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও গুজরাত পদ্মশিবিরের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও এ রাজ্যের আটটি সিটে স্বাধীনতার পর থেকে কোনওবারই দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি (BJP Never Won In These Seats)। সেই আসনগুলি হল-গুজরাত,বোরসাদ, ঝাগড়িয়া, আঙ্কালাভ, দানিলিমদা, মহুধা, গরবাধা ও ভ্যায়ারা। এই আসনগুলিতে বিজেপি প্রার্থী দিলেও ১৯৬০ সালে মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাত আলাদা হলেও কোনও নির্বাচনেও এই আসনগুলিতে জয় পায়নি তারা। এই আটটি আসনে বরাবরই জিতে এসেছে কংগ্রেস। বোরসাদ আসনে ১৫বার ভোট হয়েছে। এরমধ্যে দুবার উপনির্বাচন হয়েছে। ১৯৬২ সালে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থী। তারপর থেকে জিতে এসেছে কংগ্রেস। জাগদিয়া আসনে কংগ্রেস, জনতা দল, জনতা দল-ইউ, বিটিপি জিতে আসছে। পাশাপাশি আদিবাসী অধ্যুষিত মহুধা ও গারবাদাতেও একবারের জন্য জেতেনি বিজেপি। এবারের ভোটে সেই ধারা অব্যাহত থাকবে কিনা, তা দেখার।